ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বের করে আনতে আবারও বাধার মুখে পড়েছে উদ্ধারকারী দল। শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ রাখা হয় সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ। ড্রিলিং মেশিনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখা দেয়ার পর যে কাঠামোর ওপর দাঁড় করিয়ে যন্ত্রটিকে চালানো হচ্ছিল তাতেও ত্রুটি দেখা দেয়। এতে ব্যাহত হয় উদ্ধার কাজ।
উদ্ধারকারীরা জানায়, মাত্র দুদিনের মধ্যে পরপর দুটি বাধা পাওয়ার বিষয়টি আশা করা হয়নি। দ্বিতীয় বাধাটি এতটাই শক্ত যে, ড্রিলকারী অগার মেশিনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে অগার মেশিনটি মেরামতের জন্য সরিয়ে নেয়া হয়। আপাতত উদ্ধারকাজ স্থগিত রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের নির্দিষ্ট সময় বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এতে সুড়ঙ্গ থেকে ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, টানেলের পাশে শ্রমিকদের প্রত্যেকের জন্য রয়েছে একটি করে অ্যাম্বুলেন্স। গুরুতর আহতদের জন্য রয়েছে বিমান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, উত্তরাখণ্ডের নির্মাণাধীন টানেলের ভেতরে আটকেপড়া ৪১ শ্রমিককে ‘১২ থেকে ১৫ ঘণ্টার মধ্যেই’ উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। উদ্ধারকর্মীরা সুড়ঙ্গের ভেতরে পৌঁছে গেছেন। অক্সিজেন মাস্ক পরে পাইপের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে ঢুকেছেন তারা।
তবে উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত ড্রিলিং মেশিনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি দেখায় উদ্ধার কাজ কখন শেষ হয় তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
গত ১২ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের সিল্কইয়ারা ও দান্দানগাঁওকে সংযুক্তকারী টানেল নির্মাণের কাজ শেষে বের হচ্ছিলেন নাইট শিফটের শ্রমিকরা। এ সময় ডে শিফটের শ্রমিকরা প্রবেশ করতে গেলে হঠাৎ করেই সেটি ধসে পড়ে। এতে সেখানে ৪১ জন শ্রমিক আটকা পড়েন।