বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে টানা তিন ম্যাচে হেরেছে ব্রাজিল। গত মাসে উরুগুয়ের বিপক্ষে হারের পর চলতি মাসে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরেছে তারা। এই তিন ম্যাচে হেরে ব্রাজিলের সমর্থকরা শঙ্কায় পড়ে গেছে তাদের আগামী বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে। আসলেই কি চিন্তা করার দরকার আছে ব্রাজিলের সমর্থকদের?
ঘরের মাঠে বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামে গত বুধবার (২২ নভেম্বর) আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যায় ব্রাজিল। ঘটনাবহুল এক ম্যাচে মাঠের খেলায় তেমন প্রভাব রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত তো ১০ জনে পরিণত হয় ব্রাজিল। এই হারের ফলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের টেবিলে ছয় নম্বরে নেমে গেছে মারকুইনহোস-রদ্রিগোরা।
এতে করে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিল খেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আরও দুই তৃতীয়াংশ বাকি আছে। ব্রাজিল এখনও ১২টি ম্যাচ খেলবে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে পুনরায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শুরু হবে। ওই মৌসুমে ছয়টি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।
এরপর ২০২৫ সালে ছয়টি ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করবে। হাতে এখনও ১২টি ম্যাচ থাকায় এখনই ‘ব্রাজিলের ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলা শঙ্কায়’ কথাটি বলা কঠিন।
এছাড়া আরও একটি নিয়মের কারণে ব্রাজিল এখনও বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া নিয়ে কঠিন সমীকরণে পড়েনি। কনমেবল অঞ্চল থেকে পূর্বে চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা পেত। পঞ্চম স্থানে থাকা দলের প্লে অফ খেলতে হতো। কিন্তু ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে সব মিলিয়ে ৪৮ দল নিয়ে। সেজন্য কনমেবল অঞ্চল থেকে ছয়টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা পাবে। সপ্তম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হবে বাছাইপর্ব।
ব্রাজিল আপাতত রয়েছে টেবিলের ছয় নম্বরে। ফলে এই অবস্থানে থেকেও বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষ করতে পারলে ব্রাজিল সরাসরি কোয়ালিফাই করবে বিশ্বকাপের জন্য। যদিও এই অবস্থায় থেকেই অবশ্যই বিশ্বকাপে যেতে চাইবে না ফুটবলের সবচেয়ে সফল দেশটি।
এদিকে ব্রাজিলের বাজে পারফরম্যান্সের পেছনে দুটি বিষয়কে দায়ী মনে করা হচ্ছে। প্রথমত, নেইমারের ইনজুরি। ব্রাজিল এখন নেইমারহীন জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি। অন্য দায়টি চাপানো হচ্ছে দলটির কোচ ফার্নান্দো দিনিজের ওপর। অন্তবর্তীকালীন কোচের নতুন সিস্টেমের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি তরুণ সেলেসাওরা।