আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের কাছে যার বেশি গ্রহণযোগ্যতা আছে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রধান্য বা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আর ২৫ নভেম্বরেই দলীয় প্রার্থীদের নামের চূড়ান্ত তালিকা দেয়া হবে। একসাথে সব প্রার্থীর নাম অনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দুই বিভাগের ৬৯টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এবার বেশ কয়েকজন বর্তমান সংসদ সদস্য বাদ পড়েছেন। জনগণের কাছে যার বেশি গ্রহণযোগ্যতা আছে, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টি বেশি প্রধান্য দেয়া হয়েছে। আর ২৫ নভেম্বরের আগেই দলীয় প্রার্থীদের নামের চূড়ান্ত তালিকা দেয়া হবে। একসাথে সব প্রার্থীর নাম অনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবারও বলেন,
প্রার্থী বাছাইয়ে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। প্রার্থীর নাম প্রকাশ না করে কী শিকেই তুলে রাখা হবে? প্রকাশ তো করতেই হবে। কারণ ৩০ তারিখ সময় শেষ হচ্ছে। তার আগেই নাম প্রকাশ করা হবে।
রাজনীতির বাইরে কেউ আছেন কি না- এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে রাজনীতির বাইরে কেউ আসেনি।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৬৯টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। পরে ধাপে ধাপে বাকি বিভাগগুলোর প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। টানা তিন দিন এই বৈঠক চলবে। শেষ হবে শনিবার (২৫ নভেম্বর)।
আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এর আগে জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য গত চারদিনে ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। এতে ক্ষমতাসীন দলটির আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
তফসিল অনুযায়ী-নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। গত ১ নভেম্বর থেকে এবারের নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। সে অনুসারে ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।