আবারও আইনি ঝামেলায় পড়তে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক। কারণ, আদালতের রায়ে ফ্লোরিডার একজন বিচারক বলেছেন, টেসলার গাড়ির অটোমেটেড ড্রাইভিং সিস্টেম যে ত্রুটিপূর্ণ ছিল, সে বিষয়টি জানতেন ইলন মাস্ক এবং কোম্পানির অন্যান্য নির্বাহীরা এবং তা সত্ত্বেও গাড়িগুলো বিক্রির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়।
বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেসলার অটোপাইলট ফিচার নিয়ে আবার আইনি ঝামেলার মুখোমুখি হচ্ছেন ইলন মাস্ক।
গত সপ্তাহের একটি আদালতের রায়ে ফ্লোরিডার একজন বিচারক বলেছেন,
ইলন মাস্ক এবং অন্যান্য টেসলার নির্বাহী জানতেন যে কোম্পানির অটোমেটেড ড্রাইভিং সিস্টেম ত্রুটিপূর্ণ ছিল। তবে এর পরও তারা গাড়িগুলো বিক্রির অনুমতি দিয়েছেন। যার যুক্তিসংগত প্রমাণ মিলেছে।
এই রায়ে বিচারক রিড স্কট ২০১৯ সালে জেরিমি ব্যানারের মৃত্যুর বিষয়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে আনা একটি মামলার বিচারকাজ শুরুর অনুমতি দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে টেসলার একটি মডেল থ্রি গাড়ি অটোপাইলট সিস্টেম চালু থাকাবস্থায় একটি ট্র্যাক্টর-ট্রেলারের নিচে চলে যায়। এ দুর্ঘটনায় নিহত হোন জেরিমি ব্যানার। পরে ব্যানারের পরিবার টেসলার বিরুদ্ধে চরম অবহেলা এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অসদাচরণের অভিযোগ এনে মামলা করে। তারা অভিযোগে দাবি করেন যে কোম্পানিটি তাদের অটোপাইলট সিস্টেমে সমস্যা থাকার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল এবং তা সত্ত্বেও গাড়িগুলো বিক্রি করা হয়।
আদালত জানিয়েছে যে ব্যানারের দুর্ঘটনার সঙ্গে ২০১৬ সালে হওয়া একটি দুর্ঘটনার ভয়াবহ সাদৃশ্য রয়েছে। সেই সময়ে টেসলা মডেল এস গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন জোশুয়া ব্রাউন। উভয় দুর্ঘটনায় টেসলার গাড়ি ক্রসিং ট্রাক শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। কাজেই এতে প্রতীয়মান হয় যে অটোপাইলটে সমস্যার বিষয়ে টেসলা জানত।
এর আগে জুন মাসে ওয়াশিংটন পোস্টের বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টেসলায় অটোপাইলটকে কেন্দ্র করে ৭৩৬টি দুর্ঘটনা হয়েছে এবং এতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন।
এ বিষয়ে জানতে বিজনেস ইনসাইডের পক্ষ থেকে টেসলায় যোগাযোগ করা হলে তারা অনুরোধে সাড়া দেয়নি।