Homeআন্তর্জাতিকগাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার ১৭ লাখই এখন শরণার্থী

গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার ১৭ লাখই এখন শরণার্থী

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মোট বাসিন্দার সংখ্যা ২৩ লাখ। ইসরাইলি আগ্রাসনে এর ১৭ লাখই এখন উদ্বাস্তু বা শরণার্থী। যাদের বেশিরভাগই উপত্যকার ৮টি শরণার্থী শিবির এবং জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ও এগুলোর আশেপাশে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু এসব শরণার্থী শিবিরেও নির্বিচার হামলা চালানো হচ্ছে।

গাজা উপত্যকা ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত একটি অঞ্চল যা ইসরাইল, মিশর ও ভূমধ্যসাগরের মধ্যে অবস্থিত। গাজা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি আনুমানিক ৩৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসবাস করে।

গাজাজুড়ে ৮টি শরণার্থী শিবির রয়েছে। শিবিরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দক্ষিণ গাজার রাফা শরণার্থী শিবির। শিবিরটিতে ১ লাখ ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি বাস করে। এরপর রয়েছে উত্তর গাজার আল জাবালিয়া শরণার্থী শিবির। এখানে অন্তত ১ লাখ ১৬ হাজার ফিলিস্তিনি বাস করে।

এরপর গাজা শহরের আল শাতি শরণার্থী শিবিরে রয়েছে ৯০ হাজার ফিলিস্তিনি। খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে রয়েছে ৮৮ হাজার ফিলিস্তিনি। বাকি চারটি শিবির দেইর আল বালা এলাকায়। শিবিরগুলো যথাক্রমে আল বুরেইজ (৪৬ হাজার শরণার্থী), আল নুসেইরাত (৮৫ হাজার), আল মাঘাজি (৩৩ হাজার) ও দেইর আল বালা (২৬ হাজার) শরণার্থী শিবির।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, গত মাসে সংঘাত শুরু হওয়ার আগে থেকেই ওই ৮টি শিবিরে মোট শরণার্থী ছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার। সংঘাত শুরু হওয়ার পর গত ৪৬ দিনে নতুন করে প্রায় ১১ লাখ ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু বা শরণার্থী হয়েছে। যাদের মধ্যে প্রায় ৯ লাখই জাতিসংঘ চালিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। উল্লেখ্য, গাজাজুড়ে জাতিসংঘের ১৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে।

আবার অনেকেরই শরণার্থী শিবির বা জাতিসংঘ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও আশ্রয় হয়নি। ফলে তারা খোলা আকাশের নিচে বা অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল-হামাস লড়াই শুরুর পর থেকে শরণার্থী শিবিরগুলোতে মানবেতর জীবনযাপন করছে ফিলিস্তিনিরা।

ইসরাইলের বিরামহীন বোমা হামলার মধ্যে গত কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টিপাত শরণার্থীদের দুর্দশা আরও বাড়িয়েছে। নোংরা পরিবেশে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বাসিন্দারা। এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুতই রোগাক্রান্ত হবে শিবিরের সবাই। খাওয়ার পানি নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, এরই মধ্যে শিবিরে অবস্থানরত শরণার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ। পরিচ্ছন্নতার অভাবে দ্রুতই চরম অবনতি হতে পারে পরিস্থিতি।

Exit mobile version