চীনা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের কনটেন্ট দেশের সামাজিক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করছে, এমন অভিযোগে জনপ্রিয় এই প্ল্যাটফর্মটিকে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে নেপাল।
বিবিসির এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে নেপালের টেলিকম কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পুরুষোত্তম খানাল আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন,
ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের অ্যাপটি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যেই এটি বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যরা এটি শিগগিরই বন্ধ করে দেবেন।
তবে ঠিক কবে নাগাদ এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে, সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানায়নি নেপাল সরকার।
মূলত কয়েক দিন আগে দেশটিতে একটি নতুন নিয়ম চালু করা হয়। নতুন এই নিয়মানুসারে, নেপালে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সংস্থার কার্যক্রম চালু রাখতে হলে দেশটিতে তাদের অফিস স্থাপন করতে হবে। এর পরপরই এমন ঘোষণা দিল সরকার।
নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রেখা শর্মা জানিয়েছেন,
টিকটককে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত সোমবার (১৩ নভেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে টিকটকে যোগাযোগ করা হলে তারা সাড়া দেয়নি। তবে এর আগে তারা জানিয়েছিল যে এ ধরনের বিষেধাজ্ঞাগুলো ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে আরোপ করা হয়।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানিয়েছে যে চলতি সপ্তাহে শুরুতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে অনেকের ভিন্ন মত রয়েছে।
তাদের প্রতিবেদন বলছে, নেপালে গত চার বছরে ১ হাজার ৬০০টি টিকটক সম্পর্কিত সাইবার অপরাধের মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মাসে প্রায় ১ বিলিয়ন ব্যবহারকারী টিকটক ব্যবহার করে থাকেন। এর আগে ২০২০ সালের জুনে টিকটকসহ চীনা ডেভেলপারদের কয়েক ডজন অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল প্রতিবেশী দেশ ভারত। তা ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তান প্ল্যাটফর্মটির কনটেন্টকে অনৈতিক ও অশ্লীল আখ্যায়িত করে অন্তত ৪ বার নিষিদ্ধ করেছে।
এ ছাড়া চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রথম মার্কিন রাজ্য হিসেবে মন্টানা এটি নিষিদ্ধ করেছিল। পাশাপাশি ইউকে পার্লামেন্টও টিকটকে তাদের নেটওয়ার্ক থেকে নিষিদ্ধ করেছিল।