ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস।
রোববার (১২ নভেম্বর) সংস্থাটির মহাপরিচালক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টাইটারে) পোস্ট করা এক বার্তায় গাজায় স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা, লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুসহ শত শত অসুস্থ ও আহত রোগী এবং হাসপাতালের ভেতরে থাকা বাস্তুচ্যুত লোকজনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আবারও গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতিকে জীবন বাঁচানো এবং দুর্ভোগের ভয়াবহ মাত্রা কমানোর একমাত্র উপায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গুরুতরভাবে আহত এবং অসুস্থ রোগীদের টেকসই, সুশৃঙ্খল, নিরবচ্ছিন্ন এবং নিরাপদ চিকিৎসার আহ্বানও জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
এর আগে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে শিশু নিহত হচ্ছে। তিনি বলেন, সেখানে কোনো জায়গাই নিরাপদ নয় এবং কেউই নিরাপদে নেই।
তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, গজার ৩৬ টি হাসপাতালের অর্ধেক এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই এখন আর কাজ করছে না। এছাড়া এখনও যেসব হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সক্রিয় রয়েছে, পরিস্থিতি তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে তেদ্রোস আধানম বলেন, গাজার হাসপাতালের করিডোর পর্যন্ত আহত, অসুস্থ, মৃত ব্যক্তিদের ভিড়ে ভরে গেছে। মর্গ উপচে পড়ছে। অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ হাসপাতালে আশ্রয় নিচ্ছেন।
এদিকে শনিবার (১১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল–কিদরাকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ‘জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় আল-শিফা হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জ্বালানি সংকটে অস্ত্রোপচার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ইনকিউবেটরে থাকা এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে, যেখানে আরও ৪৫ শিশু মৃত্যুর প্রহর গুনছে।’