এম এইচ শান্ত, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি।।
মোংলা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত বানিজ্যিক জাহাজ থেকে পাঁচারের সময় ট্রলার বোঝাই বিপুল পরিমান জ্বালানী তেল (ডিজেল) উদ্ধার করা হয়। এ সময় তেল পাচারের সাথে জড়িত দুই জন সক্রিয় চোরাকারবারীকেও আটক করে মোংলা থানা পুলিশ। বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে পশুর চ্যানেল সংলগ্ন মোংলা নদীর পাড় থেকে তেলসহ তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ জানায়, মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া নামক স্থানে জাহাজ নঙ্গর করা বয়ায় অবস্থানরত বিদেশী জাহাজ থেকে একদল পাচারকারী তেল (ডিজেল) পাচার করে ট্রলার বোঝাই করছে এমন গোপন খবর আসে মোংলা থানা পুলিশের কাছে। এ গোপন সংবাদের সুত্রধরে বুধবার সন্ধ্যা রাতে মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পশুর নদীতে অভিযানে নামে মোংলা থানার একদল পুলিশ। রাত ৮টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেল দিয়ে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা ট্রলার দ্রুত যেতে দেখে চ্যালেন্স করে তারা। এসময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পাচারকারীরা ট্রলার চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সময় মোংলা নদীর পাড় থেকে ফজলু মৃধার ছেলে হেলাল মৃধা (৩০) ও কামাল হোসেন’র ছেলে রনি (২৫) কে হাতে-নাতে আটক করে পুলিশ সদস্যরা। আটককৃতদের বাড়ি মোংলা পৌর শহরের শ্রম কল্যান রোড এলাকার বালুর মাঠ ও কবরস্থান রোডের নতুন কলোনী এলাকায় বলে জানায় পুলিশ। পরে ট্রলারে তল্লাশী চালিয়ে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ ড্রাম জালানী তেল (ডিজেল) উদ্ধার করে পুলিশ।
এ তেল পাচারের সাথে জড়িত মুল হোতা কারা, তাদের তথ্য জানতে আটককৃতদের রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করা হবে। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মোংলা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন, মোংলা একটি সমুদ্র বন্দর। এখানে বন্দরের বিভিন্ন দেশী-বিদেশী মালামাল পাচারকারী কয়েকটি চোরা সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। তারা প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে প্রতিনিয়ত তেল (ডিজেল) গম, চাল, কয়লা, সার সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পাচার করছে এমন তালিকা রয়েছে পুলিশের কাছে। অভিযান চালানো হচ্ছে, এরই মধ্যে বহু মালামাল জব্দ ও আটকও হচ্ছে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। বুধবার রাতেও পশুর নদীতে অভিযান চালিয়ে চোরা তেল সহ দুই পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।