অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে। এতে তার একজন দেহরক্ষী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সিএনএন তুর্ক টিভির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস।
হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এর দায় স্বীকার করেছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের সশস্ত্র বাহিনী ‘সন্স অব আবু জান্দাল’। হামলার মাত্র দুদিন আগে রোববার (৫ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনীটি মাহমুদ আব্বাসকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল।
এদিকে ওইদিনই রামাল্লায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মাহমুদ আব্বাস। আল জাজিরার প্রতিবেদনমতে, ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকে আব্বাস বলেছেন, গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ কার্যকর করতে হবে। সেই সঙ্গে অব্যাহত মানবিক সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। তবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে রাজি হননি ব্লিঙ্কেন। তবে তিনি বলছেন, ‘গাজাবাসীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা উচিত নয়।’
তবে এর আগে এক বিবৃতিতে মাহমুদ আব্বাস জানিয়েছিল যে, হামাস ফিলিস্তিনি জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
অবরুদ্ধ গাজায় এখন পর্যন্ত ইসরাইলি বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৪ হাজারের বেশি শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ২৭ হাজার। নিখোঁজ রয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি।