যশোরের বাজারে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। প্রতি পিস ডিম পাইকারি দাম কমেছে এক থেকে দেড় টাকা।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) জেলার বড়বাজারে সকালে প্রতি পিস মুরগির লাল ডিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা ও সাদা ডিম ১০ টাকা। সেই ডিম সোমবারও একই দামে বিক্রি হয়। তবে রোববার প্রতি পিস ডিম বিক্রি হয়েছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা দরে।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারতীয় ডিম নয়, শীত শুরুর পর উৎপাদন বাড়ায় কমেছে ডিমের দাম। ক্রেতা পর্যায়ে এর সুফল দুই একদিনের মধ্যে পৌঁছাবে।
পাইকারি ব্যবসায়ী শাহজাহান আলী বলেন, কম উৎপাদন ও খরচ বৃদ্ধির অজুহাতে দুই মাসের বেশি সময় আগে ডিমের মূল্যবৃদ্ধি পায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে নেয়া উদ্যোগ সুফল না দেয়ায় ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। গত রোববার আমদানি করা ডিম দেশে পৌঁছায়। এরপর সোমবার থেকে যশোরের বাজারে দাম কমতে শুরু করে।
বড়বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, পাবনা থেকে ডিম এনে বাজারে বিক্রি করি। রোববার প্রতি পিস ডিম পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা দরে। সেই ডিম (লাল) সোমবার থেকে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা ৫০ পয়সা ও সাদা ডিম ১০ টাকা দরে। নতুন এ দামে ডিম কিনেছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পাইকারি দোকান থেকে যেসব ক্রেতারা ডিম কিনেছেন তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা সরকারের আমদানি উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
যশোরে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ডিমের চাহিদা রয়েছে। যার মধ্যে যশোরে উৎপাদিত হয় প্রায় ৪ লাখ ডিম। বাকি ডিম পাবনা, রাজশাহী, সাতক্ষীরা মাগুরা জেলা থেকে আমদানি করা হয়।