Homeআন্তর্জাতিকড্রোন হামলা: আবারও ইসরাইল কাঁপিয়ে দিলো হুতিরা

ড্রোন হামলা: আবারও ইসরাইল কাঁপিয়ে দিলো হুতিরা

ইসরাইলে নতুন করে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। এ হামলায় ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটি এবং বিমানবন্দরের কার্যকলাপও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় বলে দাবি তাদের।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা সোমবার ইসরাইলে নতুন করে ড্রোন হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে। হুতিরা বেশ জোর দিয়ে বলেছে, তাদের চালানো সবশেষ এই হামলা ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটি এবং বিমানবন্দরগুলোর কার্যকলাপ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।

যদিও তাৎক্ষণিকভাবে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।

হুতি গোষ্ঠীর সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি সামাজিক মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন,

ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী… দখলকৃত অঞ্চলে ইসরাইলি শত্রুদের বিভিন্ন সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে গত কয়েক ঘণ্টায় ধারাবাহিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে ইসরাইলি ঘাঁটি এবং বিমানবন্দরের কার্যকলাপ কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল।

তিনি আরও বলেন,

যতক্ষণ পর্যন্ত গাজায় আমাদের ভাইদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের নৃশংস আগ্রাসন বন্ধ না হচ্ছে, হুতি বাহিনী ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে আরও বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে…।

এর আগে, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে সম্প্রতি ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিপুল ব্যালিস্টিক মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন ছোড়ে হুতি সদস্যরা। এতে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও, তাদের দূরপাল্লার সমরাস্ত্রের সক্ষমতা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে ইসরাইল ও তাদের পশ্চিমা মিত্রদের। প্রায় ১ হাজার ৪০০ মাইল দূর থেকে ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে এসব মিসাইল।

হুতিদের সমরাস্ত্র ভাণ্ডার কতটা শক্তিশালী সে বিষয়ে খুব বেশি তথ্য প্রকাশ না করলেও, তাদের সামরিক শক্তি আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভাণ্ডারের বেশিরভাগ সমরাস্ত্রই ইরানের দেয়া। ওমান, আরব সাগর ও লোহিত সাগর হয়ে তেহরান থেকে হুতিদের হাতে পৌঁছায় এসব অস্ত্র।

পশ্চিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, ইরানের তৈরি কিয়াম ওয়ান ও টু, ফাতেহ- ১১০ ও খাইবারের মতো ব্যালিস্টিক মিসাইলের মালিক হুতি। তাদের কাছে ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য বেশ কয়েক ধরনের ক্রুজ মিসাইলও রয়েছে। আকাশপথেও তারা শক্তিশালী।

সর্বশেষ খবর