ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান হামাস ও ইসরাইল সংঘাত ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে বিশ্বের মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। আর রাশিয়ারও এটি ‘একটি লক্ষ্য’ ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রোববার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সফররত ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের সঙ্গে কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধ ইউক্রেন থেকে (সারা বিশ্বের) মনোযোগ কেড়ে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রতি সবার মনোযোগটা ‘দুর্বল’ হোক, এটাই চেয়েছিল রাশিয়া। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সবকিছুই আমাদের ক্ষমতায়’ আছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ অচলাবস্থায় পৌঁছে গেছে বলে দেশটির শীর্ষ সামরিক জেনারেলের সাম্প্রতিক মূল্যায়ন সত্ত্বেও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলেনস্কি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে দক্ষিণাঞ্চলে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ এখন পর্যন্ত খুব সামান্যই অগ্রগতি অর্জন করেছে।
এই পরিস্থিতিতে কিয়েভের পশ্চিমা কিছু মিত্র দেশ উন্নত অস্ত্র এবং তহবিল প্রদান অব্যাহত রাখার বিষয়ে ক্রমবর্ধমান অনিচ্ছা প্রকাশ করছে বলে ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কিকে ইউক্রেনের প্রধান সামরিক কমান্ডার ভ্যালেরি জালুঝনির সাম্প্রতিক একটি মূল্যায়ন সম্পর্কেও মন্তব্য করতে বলা হয়। সেখানে বলা হয়, যুদ্ধ এখন একটি ‘স্থবির’ বা স্থির পর্যায়ে চলে যাচ্ছে এবং এর ফলে মস্কো ‘তার সামরিক শক্তি পুনর্গঠনের সুযোগ পাবে’।
জেলেনস্কি বলেন, সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে এবং বিভিন্ন মতামত রয়েছে। তবে এটি কোনো অবস্থাতেই অচলাবস্থা নয়।
এদিকে শনিবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরভ নিশ্চিত করেছেন, দেশটির ১২৮তম মাউন্টেন অ্যাসল্ট ব্রিগেডের ইউক্রেনীয় সৈন্যরা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে তিনি ‘ট্র্যাজেডি’ হিসেবে উল্লেখ করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পূর্ব ক্রিমিয়ার কের্চ শহরে প্ল্যান্টে নিক্ষেপ করা ১৫টি ইউক্রেনীয় ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ১৩টি গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে। তবে হামলায় একটি রাশিয়ান জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।