বাজারে নতুন আসা আইফোন এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম অ্যাপল টিভি প্লাসের পরিষেবার বিপুল চাহিদার সত্ত্বেও অব্যাহতভাবে বিক্রি কমছে অ্যাপলের।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইফোনের এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম অ্যাপল টিভি প্লাসের পরিষেবার বিপুল চাহিদা রয়েছে। এরপরও অব্যাহতভাবে অ্যাপলের সামগ্রিক বিক্রি কমেছে।
জনপ্রিয় এই টেক জায়ান্ট জানিয়েছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্ব ১ শতাংশ কমে ঠেকেছে ৮৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। ফলে টানা চতুর্থ প্রান্তিকে কমেছে কোম্পানিটির বিক্রি।
এদিকে লকডাউনের পর ম্যাক কম্পিউটার এবং আইপ্যাডের চাহিদা বাড়লেও পরবর্তীতে এ দুই পণ্য বিক্রি করতে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে অ্যাপলকে।
তবে সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় কোম্পানিটি জানিয়েছে, গত তিন মাসে রেকর্ড সংখ্যক আইফোন বিক্রি হয়েছে। এতে কোম্পানির মুনাফা ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
এ ছাড়া এই পরিমাণ মুনাফার বড় ভূমিকা রেখেছে আইক্লাউড এবং অ্যাপল মিউজিকের মতো পরিষেবাগুলো। এই পরিষেবাগুলো দেয়ার মাধ্যমে ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক কোম্পানিটি আয় করেছে ২২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। যা এক বছর আগের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি।
কিন্তু সরবরাহ ব্যবস্থায় বিদ্যামান সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি নতুন আইফোন ১৫ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স ডিভাইসের ডেলিভারি বাধাগ্রাস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেছেন,
আমরা আইফোনের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। কাজেই আমরা বিশ্বাস করি, এই প্রান্তিকের পর আমরা সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে একটি ভারসাম্য তৈরি করতে পারব।
এদিকে সাম্প্রতিক কিছু তথ্য বলছে, অ্যাপলের অন্যান্য পণ্যগুলো সম্প্রতি গ্রাহকের চাহিদা অনুসারে পরিষেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে অ্যাপলের ম্যাক কম্পিউটার বিক্রি গত প্রান্তিকে ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। যেখানে আগের বছর কোম্পানিটি ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ম্যাক কম্পিউটার বিক্রি করেছে।
গত সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ আইফোন ১৫ সিরিজ বাজারে ছেড়েছে অ্যাপল।