যুক্তরাষ্ট্র এক সময় অতীতের বিষয় হয়ে যাবে এবং দেশটিরও সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো পতন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
লেবাননভিত্তিক একটি ইউটিউব চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলী বারাকা।
ইসরাইলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাক্ষাৎকারটি গত ২ নভেম্বর সম্প্রচারিত হয়। পরে এটি ইসরাইলি গবেষণা সংস্থা মিডল ইস্ট মিডিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে অনুবাদ করা হয়।
হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আলী বারাকা বলেন,
এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত শত্রুরা পরামর্শ করছে এবং ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। এমন দিন আসতে পারে যখন তারা একসঙ্গে যুদ্ধে যোগ দেবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে অতীতের বিষয়ে পরিণত করবে। তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো ভেঙে ইতিহাস হয়ে যাবে।
হামাসের এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মতে, শুধু উত্তর কোরিয়ারই সক্ষমতা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর।
আলী বারাকা বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতাই (কিম জং উন) সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করতে সক্ষম। তিনিই একমাত্র। এমন দিন আসতে পারে, যখন উত্তর কোরিয়া হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করবে, কারণ এটি আমাদের জোটের অংশ।
আলী বারাকা আরও জানান, হামাসের প্রতিনিধিদল সম্প্রতি মস্কো সফর করেছে। আরেকটি দল শিগগিরই বেইজিংয়ে যাবে।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে হামাসের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। দোহায় চীন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদল হামাসের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বলে জানান হামাসের জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তা।
হামাসের এই কর্মকর্তার মতে, ইরানের যুক্তরাষ্ট্রে হামলা করার সামর্থ্য নেই। কারণ তাদের কাছে এমন অস্ত্র নেই। যদিও গাজা যুদ্ধে হস্তক্ষেপ বাড়ালে ইরান ইসরাইল এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাস অতর্কিত হামলা চালায়। এর পর থেকে টানা ২৯ দিন ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিয়মিত আগ্রাসী হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরাইলী বাহিনী। সবশেষ তথ্যানুযায়ী, গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ৯ হাজার হাজার ছাড়িয়েছে। যার প্রায় অর্ধেকই শিশু। আহত হয়েছেন ২২ হাজারের বেশি। এছাড়া বিমান হামলায় বিধ্বস্ত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছেন বহু মানুষ।