রাজধানীর মতিঝিলের আরামবাগ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
রাজধানীবাসীকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই তিনি আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন।
বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী সমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, মেট্রোরেল সার্ভিসের দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন উপলক্ষে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মানুষের ঢল নামাতে চায় আওয়ামী লীগ।
জানা গেছে, জনসভা ঘিরে এতোমধ্যে আরামবাগ মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। কর্মী-সমর্থকদের ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও থানা-ওয়ার্ডে বিশেষ বর্ধিত সভা করে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এ জনসভায় ১০ লাখ লোক জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে দলের নেতারা। তারা বলছেন, এই শোডাউনের মধ্য দিয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তির প্রদর্শন করা হবে।
এদিকে আজ আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের পর আগামীকাল রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে তিনটি স্টেশন দিয়ে শুরু হবে এ পথের বাণিজ্যিক যাত্রা। প্রাথমিকভাবে উত্তরা পর্যন্ত চলবে চার ঘণ্টা। দশ মিনিট পরপর আসবে ট্রেন। তিন মাসের মধ্যে বাকি স্টেশনগুলো চালু করে ভোর থেকে মধ্যরাতের পূর্ণ শিডিউলে চলবে মেট্রোরেল।
এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা।
পুরোপুরি চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২০১৬ সালের ২৪ জুন এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত মেট্রোরেল প্রকল্পের নির্মাণ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মূলত মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১.৬ কিলোমিটার বাড়তি অংশ নির্মাণ, প্রতিটি স্টেশনের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হওয়ায় খরচ বেড়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা।
মেট্রোরেল প্রকল্প নেয়া হয় ২০১২ সালে। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় পরের বছর। মূল কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।