গাজায় নির্বিচারে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিক্ষোভে অংশ নেন বহু মানুষ। ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। অনেকে গাজায় নিহত হাজার হাজার শিশুর স্মরণে রক্তমাখা মূর্তি বহন করেন।
বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধবিরতির আহ্বানের জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে আহ্বান জানানোর দাবি তোলেন। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের পক্ষ নিয়ে যুক্তরাজ্যও গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়নি। এর পরিবর্তে গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দেয়ার জন্য যুদ্ধে মানবিক বিরতি দেয়ার কথা বলেছে।
বিক্ষোভ হয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ জার্মানিতেও। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনপন্থি প্রায় দশ হাজার বিক্ষোভকারী শনিবার বার্লিনের ক্রুজবার্গে গাজায় হামলার প্রতিবাদ জানায়। একই দিন ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বার্লিনের পাশাপাশি অন্যান্য জার্মান শহরেও বিক্ষোভ হয়।
গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে ফ্রান্সের মার্সেইলে শহরেও বিক্ষোভ হয়েছে। তারা গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানাতে এদিন রাস্তায় নামেন। ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে গাজায় হামলা বন্ধের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
হাজার হাজার ফিলিস্তিনি সমর্থক মধ্য রোমে গাজায় ইসরাইলি বোমা হামলার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে সমাবেশ করেছে। প্রায় ২০ হাজার বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনি পতাকা নেড়ে এবং গাজার সমর্থনে স্লোগান দিয়ে কলোসিয়ামের সামনে ‘যুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং শান্তির জন্য’ মিছিল করে। সমাবেশস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বড় মোতায়েন ছিল।
পশ্চিম তীরের হেবরনে ফিলিস্তিনিরা বিশ্বজুড়ে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানিয়ে র্যালি করেন। আর রামাল্লার তরুণরা মোমবাতি জ্বালিয়ে সংহতি জানান গাজাবাসীর প্রতি।
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে অংশ নেন ইরাকিরা। শনিবার শতশত শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসেন। তারা গাজায় হামলা বন্ধের দাবি জানান।
শনিবার লেবাননেও গাজায় ইসরাইলি হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। লেবাননে অবস্থানরত শতশত ফিলিস্তিনি এবং হিজবুল্লাহ সমর্থক ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জাবাবে গাজায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এই হামলা এখনো অব্যাহত আছে। ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনির অর্ধেকই শিশু। আর আহত হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার।