Homeসর্বশেষ সংবাদবিএনপির হামলা গাজায় ইসরাইলি তাণ্ডবকে মনে করিয়ে দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপির হামলা গাজায় ইসরাইলি তাণ্ডবকে মনে করিয়ে দিচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গাজার হাসপাতালে ইসরাইলি বাহিনী যেভাবে হামলা চালাচ্ছে, বিএনপির তাণ্ডব সেই ঘটনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের ব্রিফকালে তিনি এমন কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে। পুলিশ হাসপাতালের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করেছে। তারা এভাবে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যাতে সেবিকা ও হাসপাতালকর্মীরাও আহত হয়েছেন। এখন গাজার হাসপাতালে ইসরাইলি বাহিনী যেভাবে হামলা চালাচ্ছে, বিএনপির বর্বোরোচিত হামলা সেই ঘটনাই মনে করিয়ে দেয়।

আসাদুজ্জামান খান বলেন,

বিএনপি প্রচার চালিয়েছিল তাদের সমাবেশে দশ লাখ লোক নিয়ে আসবেন। আমাদের পুলিশ কমিশনার তখন বলেছিলেন, এমনিতেই ঢাকা শহরে যানজট, তারপর দশ লাখ লোক নিয়ে আসবেন। আপনারা কোথায় কী করতে চান, মাঠে যান। তারা মাঠে না গিয়ে নিজেদের দলীয় অফিসের সামনে সমাবেশ করেছেন।

‘আমাদের পুলিশ কমিশনার তাদের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছিলেন, কেবল তাদেরই না, আমাদের আওয়ামী লীগের সমাবেশ নিয়েও প্রশ্ন করেছিলেন। সেগুলো হচ্ছে, আপনারা কতক্ষণ সমাবেশ করবেন, কোন জায়গা থেকে কোন জায়গা পর্যন্ত আপনাদের সমর্থকরা অবস্থান করবেন? আপনারা কোনো ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারবেন না। পুলিশ কমিশনার এমন অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি জানিয়েছিল, একদিকে নাইটিঙ্গেল মোড়, অন্যদিকে ফকিরাপুলের মোড় পর্যন্ত তারা থাকবে। কোনো সহিংসতা না করারও অঙ্গীকার করেছিলেন বিএনপির নেতারা। কিন্তু আমরা অনেক দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, পাশাপাশি আমাদের আওয়ামী লীগও একটা শান্তির সমাবেশ ডেকেছিল। সেখানেও তো মানুষ এসেছিল, সঙ্গত কারণে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে দিয়েও দুয়েকটা ছোটো ছোটো দল যাচ্ছিল। বিশেষ করে টেম্পু ও লেগুনা নিয়ে নারীদের একটি গ্রুপ যাচ্ছিলে। তখন হঠাৎ করে লেগুনায় আক্রমণ করে নারীদের মারধর করা হয়েছে। পুলিশ তখন তাদের বাধা দেয়। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা মারমুখী হয়ে যান। তারা পুলিশের ওপর চড়াও হন। এখানেই শেষ না, প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ঢুকে যেতে কোনোদিন কোনো দেশে দেখিনি, সে ঘটনাও তারা ঘটিয়েছে। তারা ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়, তখন বাধ্য হয়ে ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করে পুলিশ। তখন তারা বাধ্য হয়ে তাদের হটিয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত নিয়ে যায়।’

বিএনপি নেতাকর্মীরা যেখান দিয়ে গেছে, সেখানেই ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,

নাইটিঙ্গেলের পরে কিন্তু পুলিশ আর ঢোকেনি। পরবর্তীকালে আমরা দেখলাম, বিএনপির নেতাকর্মীরা পকেটে করে নিয়ে আসা ইটপাটকেল ও গুলতি দিয়ে মারবেল ছুড়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। যার ভিডিও আমাদের কাছে আছে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা থেকে সংবাদকর্মীরাও রেহাই পাননি বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি কর্মীদের) ইটপাটকেলে এক পুলিশ সদস্য মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর ছাত্রদলের এক নেতা ক্যামেরায় বন্দি রয়েছেন, যিনি পুলিশকে পিটাচ্ছেন। এমনভাবে পিটিয়েছেন, তারপর চাপাতি দিয়ে তার মাথা খণ্ডিত করা হয়েছে। এমন নৃশংস বর্বোরোচিত হত্যাকাণ্ড আপনারা খুব কম দেখেছেন।’

সর্বশেষ খবর