“বিএনপির ডাকা হরতালে যশোর থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। শ্রমিকদের দাবি ১৮ রুটেই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। তবে তিন চাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে হরতালের সমর্থনে মিছিল করেছে বিএনপি। নেতাদের দাবি, পুলিশ মিছিল থেকে তাদের ৫০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে যশোর বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। পরিবহন শ্রমিকরা জানিয়েছে, যশোরের ১৮ রুটেই বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
এদিকে হরতালের সমর্থনে শহরে মিছিল করেছে বিএনপি। পুলিশের বাধার মুখেও পড়ে তারা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘গতরাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত যশোর সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানাসহ ৫০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।’
এ দিকে বেনাপোল বন্দরে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে পাসপোর্টধারীরা বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ভারত ফেরত পাসপোর্টধারীরা। তবে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক রয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য।
রোববার(২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে যাত্রীবাহী কোনো বাস ছাড়েনি বেনাপোল বন্দর থেকে। ফলে ভারত ফেরত যাত্রীরা পড়েছেন অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তিতে।
ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রী রহিম জানান, তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। রোববার সকালে দেশে ফিরে দেখেন বিএনপির ডাকা হরতালের কারণে বেনাপোল বন্দর থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়ছে না। এতে পরিবার নিয়ে আটকা পড়ে দুর্ভোগে আছেন।
ব্যবসায়ী আব্বাস হোসেন বলেন, ‘জরুরি কাজে ঢাকা যাওয়া দরকার। হরতাল করে রাস্তাঘাট ও যানবাহন বন্ধ করে মানুষের দুর্ভোগ না বাড়িয়ে বিরোধী দলকে বিকল্প পথে দাবি আদায়ের অনুরোধ জানাই।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহসভাপতি কামাল হোসেন জানান, হরতালে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল সোহাগ পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হরতালের কারণে আমাদের কোনো বাস আপাতত ছাড়া হচ্ছে না। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে বাস চলবে। ভারত ফেরত যাত্রীরা বর্তমানে কাউন্টারে অপেক্ষা করছেন।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, হরতালের সমর্থনে বেনাপোল বন্দরে রাস্তায় কাউকে নামতে দেখা যায়নি। নাশকতা এড়াতে শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের টহল জোরদার রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, হরতালের মধ্যেও বেনাপোল বন্দরে দিয়ে আমদানি-রফতানি সচল আছে। নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এড়াতে বন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রাখা হয়েছে।