যারা সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে তাদের রাস্তা বাদ দিয়ে যে কোনো খোলা মাঠে সমাবেশ করার জন্য বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, যারা সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে তাদের রাস্তা বাদ দিয়ে যে কোনো খোলা মাঠে সমাবেশ করার জন্য বলা হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে চিঠি দিয়েছে ডিএমপি।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) পল্টন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সালাহউদ্দিন মিয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে এ তথ্য জানানো হয়। বিএনপির পক্ষে চিঠি গ্রহণ করেছেন দলের অফিস সহকারী মো. শামীম। আর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপি ওই চিঠিতে যেসব বিষয় বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছে সেগুলো হলো-
* সমাবেশে লোকসমাগম কখন শুরু হবে এবং সমাবেশে কখন শেষ হবে।
* সমাবেশে কী সংখ্যক লোকসমাগম হবে।
* সমাবেশটি নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঠিক কোন কোন স্থান পর্যন্ত বিস্তৃত হবে?
* সমাবেশের বক্তব্য প্রচারে কোন কোন স্থানে মাইক স্থাপন করা হবে।
* সমাবেশে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন কিনা?
* সমাবেশে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে কিনা? হলে তার সংখ্যা কত?
* জননিরাপত্তার কারণে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেয়া না হলে বিকল্প আরও দুটি ভেন্যুর নাম দেয়ার প্রস্তাব করা হলো।
আগামী শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সমানে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয় বিএনপি। আর গত শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি কার্যালয়ে চিঠিটি পৌঁছে দেয় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ে আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এদিকে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আগামী ২৮ অক্টোবর আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের বিকল্প আরও দুটি ভেন্যু চেয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগকে চিঠি দিয়েছে ডিএমপি। সকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন রিয়াজ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দুটি ভেন্যুর নাম কোথায় দেব তা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। আজকেই তাদের (পুলিশ) চিঠির জবাব দেয়া হবে।’
দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক গত ২০ অক্টোবর আসছে-শনিবার সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার বরাবর চিঠি দেন। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সমাবেশের অনুমতির আবেদনের জবাবে পাল্টা চিঠি দেয় পুলিশ।
আওয়ামী লীগকে লেখা ডিএমপির চিঠিতে যা ছিল-
* সমাবেশে লোকসমাগম কখন থেকে শুরু হবে এবং সমাবেশে কখন শেষ হবে।
* সমাবেশে কী পরিমাণ লোকসমাগম হবে।
* সমাবেশটি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট সামনে থেকে ঠিক কোন কোন স্থান পর্যন্ত বিস্তৃত হবে?
* সমাবেশের বক্তব্য প্রচারে কোন কোন স্থানে মাইক স্থাপন করা হবে।
* সমাবেশে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করবেন কিনা?
* সমাবেশে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে কিনা? হলে তার সংখ্যা কত?
* জননিরাপত্তার কারণেজাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি দেয়া না হলে বিকল্প আরও দুটি ভেন্যুর নাম দেয়ার প্রস্তাব করা হলো।