আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনায় সংলাপ ইস্যু। তবে এখনও নিজ নিজ অবস্থানে অনড় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। শর্ত দিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি নয় ক্ষমতাসীনরা। আর বিএনপি বলছে, সংলাপের নামে প্রতারণা চায় না তারা। রাজপথের আন্দোলনই ভরসা বলে জানান দলটির নেতারা।
রাজনীতির আকাশে ঘনকালো মেঘ। কী হচ্ছে, কী হবে তা নিয়েই চলছে নানা বিশ্লেষণ। তফসিল ঘনিয়ে এলেও নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে অনড় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
জুলাইয়ে নির্বাচন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল। এ মাসের শুরুর দিকে পর্যবেক্ষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি সংস্থা। তাদের প্রেসক্রিপশন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতে অর্থবহ সংলাপের।
বিএনপি নেতারা বলছেন, ২০১৮ সালে সংলাপের নামে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে সরকার। এবার ফয়সালা হবে রাজপথে।
বিএনপির আইনবিয়ষক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘২০১৮ সালে সংলাপের নামে প্রতারণার পর প্রতারণা করেছে আওয়ামী লীগ। জাতির সঙ্গে বেইমানি করেছে। আমরা সেগুলো ভুলে যাইনি। আবার একতরফাভাবে নির্বাচনও করেছে। ফলে এবার আর শেখ হাসিনার ফাঁদে পা দেব না আমরা।’
তিনি বলেন, শুধু বিএনপি নয়, এ দেশের সব মানুষের দাবি নিজের ভোট নিজে দেবে। সেই ভোটের অধিকার নিশ্চিতে রাস্তায় ফয়সালা হবে।
আর ক্ষমতাসীন দলের নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলছেন, সংলাপের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। দেশ স্বাভাবিকভাবে চলছে। ফলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপির দাবিগুলো মেনে নেয়ার কোনো অবকাশ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে হবে–এসব কথাবার্তা বলে তো সংলাপের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। তাদের এসব দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই, সংলাপের কোনো সুযোগ নেই।’
দেশের রাজনীতির ইতিহাসে সংলাপ বা আলোচনায় কোনো সংকট সমাধান হয়েছে এ রকম কোনো নজির নেই। এমনকি বিদেশি মধ্যস্থতায়ও কোনো সুফল আসেনি। এরপরও রাজনৈতিক দূরত্ব কমাতে সমঝোতা-সংলাপকেই সামনে আনছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।