Homeসর্বশেষ সংবাদজমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতিকে হত্যা

জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতিকে হত্যা

মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি মুন্না আজিজ মহাজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান তিন আসামী কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।সোমবার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে জেলার কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় ফরিদপুর র‍্যাব-১০ এর কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র‍্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল কে এম শাইখ আক্তার।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন,জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামের শাহাদাত মন্ডল (৬৫), তার ছেলে মো: রাফি মন্ডল (৩২) ও মো: মেহেদী হাসান দিপু (৩০)।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের অধিনায়ক লে. কর্নেল কে এম শাইখ আক্তার বলেন, নিহত মুন্না আজিজ মহাজনের সাথে গ্রেফতারকৃত আসামীদের পূর্ব হতে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল।সেই সূত্র ধরে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আসামী দলীয় মিটিং শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। গ্রেফতারকৃত শাহাদাত মন্ডলের নেতৃত্বে আগের থেকেই ওৎ পেতে থাকা ৩২/৩৩ জন ঘটনা স্থলে অবস্থান করছিলো। নিহত মুন্না আজিজ মহাজন ঘটনা স্থলে পৌঁছালে তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা,চাইনিজ কুড়াল ও ছেনদা দিয়ে নিশংসভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।মুন্না আজিজের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।রাত ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পর থেকে আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। নিসংস এই হত্যাকান্ড বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করা হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। চঞ্চল্য এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র‍্যাব-১০ এর একটি অভিযাতিক দল উক্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এই ঘটনা প্রধান আসামীসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আশাবিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরিক কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Exit mobile version