ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের দুই শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। এমন দাবি করেছে ইসরাইলের সেনাবাহিনী। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি হামাস।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দাবি, গত সপ্তাহে (৭ অক্টোবর) সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে যে আকস্মিক হামলা চালানো হয়, তার নেতৃত্বে ছিলেন হামাসের ওই দুই কমান্ডার।
ইসরাইলের দাবি অনুযায়ী, নিহত ওই দুই কমান্ডারের একজনের নাম আবু মুরাদ। তিনি হামাসের এরিয়াল সিস্টেমের প্রধান ছিলেন। অপরজনের নাম আলি কাদি। তিনি হামাসের একটি কমান্ডো বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার (১৪ অক্টোবর) নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের গোয়েন্দা নির্দেশনায় বিমান হামলা চালিয়ে কাদিকে হত্যা করা হয়।
গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অভিযানের পরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। এরপর গত ৮দিন ধরে অবিরাম হামলা চলছেই। এতে উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি।
আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ২৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২০ শিশুও রয়েছে। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৮ জন। অন্যদিকে ইসরাইলে ১ হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩ হাজারের বেশি।
গাজা উপত্যকায় ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ৮ দিন ধরে টানা বিমান হামলায় ১ হাজার ৩০০ ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও অন্তত ৩ হাজার ৭৫০টি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে।
টানা এক সপ্তাহ ধরে বিমান হামলা চালানোর পর গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে সংঘাত, সহিংসতা শুরু হবে বলে শঙ্কা অনেকের।