হামাস-ইসরাইল সংঘাতের পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্রের চালান পৌঁছেছে ইসরাইলে। বুধবার ( ১১ অক্টোবর) ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এ কথা জানিয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন অস্ত্র বহনকারী প্রথম বিমানটি মঙ্গলবার মধ্যরাতে দক্ষিণ ইসরায়েলের নেভাটিম এয়ারবেসে পৌঁছেছে।
আইডিএফ এক এক্স ( সাবেক টুইটার) পোস্টে বলেছে, ‘যুদ্ধের সময় আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা একটি মূল অংশ।’
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের চালান প্রবেশের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এক্সে তারা বলেছে, সরঞ্জামগুলো ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিওপিপি (উৎপাদন ও সংগ্রহ বিভাগ), ইউএস প্রকিউরমেন্ট মিশন, আন্তর্জাতিক পরিবহন ইউনিটের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে এবং ইসরাইলে আনা হয়েছে।
হামাসের হামলায় তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলেন। ফোনে তিনি ইসরাইলের প্রতি তার দেশের অব্যাহত সমর্থন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
গতকাল হোয়াইট হাউসে এক বক্তব্যে বাইডেন হামাসের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি ইসরাইলকে তার অঞ্চল এবং জনগণকে রক্ষা করতে সহায়তা করার জন্য আরও তহবিল অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসকে আহ্বান জানাবেন। তার প্রশাসন ইসরাইলকে আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য পর্যাপ্ত গোলাবারুদ এবং ইন্টারসেপ্টর সরবরাহ করা অব্যাহত রাখবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে এখন পর্যন্ত ইসরাইলের ১২০০ মানুষ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে গাজায় ইসরাইলের পাল্টা হামলায় ১১০০ ফিলিস্তিনি মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।