গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার নিন্দায় এরইমধ্যে আলাদা বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলেছে দুই দেশই। তবে ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রথমবারের মতো এবার আলোচনা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, পুনরায় সম্পর্কোন্নয়নে চীনের মধ্যস্ততায় তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে চুক্তির পর বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিন-ইসরাইল দ্বন্দ্ব নিয়ে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন ইব্রাহিম রাইসি ও মোহাম্মদ বিন সালমান।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বন্ধের প্রয়োজনীয়তা’ নিয়ে রাইসি ও মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
আর সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, ফোনালাপে ইরানি প্রেসিডেন্টকে সৌদি যুবরাজ আশ্বস্ত করেছেন যে, চলমান সংঘাত বন্ধে তিনি বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিরুদ্ধে সৌদি আরবের অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
এর আগে, ইসরাইলে হামাসের আকস্মিক হামলার পর চলমান সংঘাতের ‘বিস্তার’ রোধে কাজ করার কথা জানিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনালাপে এ কথা জানান তিনি। চলমান সংকটে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
তিনি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে বলেন,
সৌদি আরব ফিলিস্তিনি জনগণের শান্তিপূর্ণ জীবনের বৈধ অধিকার, তাদের আশা ও আকাঙ্খা এবং ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য তাদের পাশে থাকবে।
এছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সব আলোচনায় ইতি টেনেছে সৌদি আরব। ইসরাইল ও ফিলিস্তিন সংঘাত শুরু হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। এ সিদ্ধান্তের কথা যুক্তরাষ্ট্রকেও জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে।
এদিকে, গাজায় ‘গণহত্যা’ চালানোয় ইসরাইলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
তিনি বলেছেন,
অবরুদ্ধ গাজায় চালানো হামলার জন্য বড় আঘাত সইতে হবে ইসরাইলকে। গাজায় চালানো ধ্বংসযজ্ঞ ইহুদিবাদীদের জন্য বিপর্যয় নিয়ে আসবে।
এককভাবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলায় ফিলিস্তিনি যুবকদের প্রশংসাও করেন খামেনি।