স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনের প্রতি জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমাদের আচরণ যেন বিমাতাসুলভ। একদিকে দিনে দিনে ভয়ংকর হয়ে ওঠা ইসরাইলকেই নগদ অর্থসহ ভারি অস্ত্র সরবরাহ করছে তারা। অন্যদিকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে হত্যা নিয়ে করতে দেয়া হচ্ছে না কোনো প্রতিবাদ। বাকস্বাধীনতার বুলি আওড়ানো পশ্চিমা দেশগুলোর এমন আচরণে উন্মোচন হচ্ছে তাদের আসল চেহারা।
জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা যুক্তরাজ্য অথবা যুক্তরাষ্ট্র। সবগুলো দেশের রাজনৈতিক, সমাজনীতি কিংবা গণমাধ্যম- সবখানেই যেন পশ্চিমাদের বড় মাথাব্যাথার কারণ বছরের পর বছর শোষণ, বঞ্চনা আর স্বাধীনতা বঞ্চিত দেশ ফিলিস্তিন। যেন গাজা উপত্যকা থেকেই শুধু নয়, পৃথিবী থেকেই গোটা ফিলিস্তিনকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারলে পশ্চিমাদের শান্তি মিলবে।
সম্প্রতি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে নতুন করে সংঘাতে জার্মানিসহ পশ্চিমাদের আসল চেহারা আরও একবার সামনে এসেছে। দেশটিতে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের বর্বর হামলার প্রতিবাদে সোচ্চার হতে চাইলে বার্লিনে মেলেনি তার অনুমোদন। তাতেই ক্ষোভ জানিয়েছেন দেশটিতে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা।
তারা বলেন, ‘আমরা বার্লিনে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিলাম। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের অবৈধ দখল ও অমানবিক বর্বর হামলা ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। সেখানে নিরীহ মানুষের ওপর একের পর এক ফেলা হচ্ছে বোমা। অথচ জার্মান সরকার আমাদের সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। জার্মান পুলিশের আচরণ বাক স্বাধীনতার পরিপন্থি।’
জার্মান সরকারের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রসহ মানবাধিকারের কথা বলা হলেও, নিজ দেশে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না। হরণ করা হয়েছে নাগরিকদের বাক স্বাধীনতা।
শুধু জার্মানি নয়, প্রতিবেশী অস্ট্রিয়াতেও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমাবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের সবক দেয়া পশ্চিমাদের এমন আচরণ দ্বিচারিতা ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করছেন অনেকে।