গণমাধ্যম অফিসও ছাড় দিচ্ছে না ইসরাইল। গত কয়েকদিনে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একাধিক সংবাদমাধ্যম অফিসে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ছয় ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ হয়েছেন আরও অন্তত দুইজন।
বুধবার (১১ অক্টোবর) পঞ্চম দিনের মতো ইসরাইলের বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এতে লাখো সাধারণ ফিলিস্তিনির পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে শত শত সাংবাদিকদের জীবন।
আল আকসা মসজিদে হামলা ও ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে বসতি নির্মাণ অব্যাহত রাখার জবাবে গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরাইলে আকস্মিক হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনীও। যার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদন মতে, গত শনিবার থেকেই অধিকৃত গাজা উপত্যকায় মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামলা থেকে বাদ পড়ছে না আবাসিক এলাকা কিম্বা গণমাধ্যম অফিসও। ফিলিস্তিনের বেশিরভাগ গণমাধ্যম অফিস পশ্চিম গাজার রিমাল জেলায়। এসব অফিস লক্ষ্য করে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে।
প্রতিবেদন মতে, গত মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) পশ্চিম গাজার রিমাল জেলায় ইসরাইলের বিমান হামলায় একসঙ্গে তিন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত শনিবার সংঘাত শুরু হওয়ার পর আরও তিনজনকে গুলি করা হত্যা করা হয়। নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে অন্তত তিনজন ‘প্রেস’ লেখা পোশাক পরে ছিলেন। এরপরও তাদের গুলি করা হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
নিহত সাংবাদিকরা হলেন সাইদ আল-তাবিল, মোহাম্মদ সোবিহ, হিশাম আল-নাওয়াজা, ইব্রাহিম মোহাম্মদ লাফি, মোহাম্মদ জারঘউন ও মোহাম্মদ এল-সালহি। আল-তাবিল ছিলেন আল-খামসা নিউজের প্রধান সম্পাদক। এল-সালহি ছিলেন একজন ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক। জারঘউন ‘স্মার্ট মিডিয়া’ নামে একটি সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন।
আল-নাওয়াজা একজন স্থানীয় সাংবাদিক ছিলেন। সোবিহ ও লাফি ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করছিলেন। এছাড়া দুই ফিলিস্তিনি ফটোগ্রাফার আল-নাজাহ-এর নিদাল আল-ওয়াহিদি ও আইন মিডিয়া নামে এক সংবাদমাধ্যমের হাইথাম আবদেল ওয়াহিদ নিখোঁজ বলে জানা গেছে।