Homeঅর্থনীতিকোভিড ভ্যাকসিন রফতানির সক্ষমতা অর্জন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

কোভিড ভ্যাকসিন রফতানির সক্ষমতা অর্জন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশেই তৈরি হবে কোভিডসহ অন্যান্য রোগের প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন। এ জন্য স্বল্প সুদে ৩৩ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই প্রকল্পে কারিগরি সহায়তা দেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দেশেই প্রাণঘাতী রোগের ভ্যাকসিন তৈরির পাশাপাশি রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ।

বুধবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং।

তিনি বলেন, কোভিডসহ অন্যান্য রোগের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ৩৩ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এডিবি। এই প্রকল্প বাংলাদেশকে উপকৃত করবে। কোভিডের সময় দেখা গেছে, বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন আমদানি করতে হয়েছে। সে সময় ভ্যাকসিনের সংকটও তৈরি হয়েছিল।

তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশেই ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এডিমন গিন্টিং বলেন,

ভবিষ্যতে কোভিডের মতো যে কোনো ধরনের প্রাণঘাতী রোগের ভ্যাকসিন বাংলাদেশ স্বল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি করতে পারবে। আমরা আশা করছি, এডিবি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কোভিড ভ্যাকসিন রফতানিও করতে পারবে। কারণ, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প খাত অনেক শক্তিশালী।

স্বল্প সুদে ঋণ গ্রহণের বিষয়টি দ্রুত অনুমোদনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ ঋণের অনুমোদন পাওয়া ন গেলে, স্বল্প সুদের ‍সুবিধা আর পাওয়া যাবে না। তাই আমি সরকারকে অনুরোধ করেছি, তারা যেন দ্রুত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবে, তখন আর কম দামে ভ্যাকসিন কেনার সুযোগ পাবে না। তখন বাজারের প্রচলিত দামেই ভ্যাকসিন কিনতে হবে। তাই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশেই ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা তৈরি হলে বাংলাদেশকে আর বেশি দামে টিকা কিনতে হবে না।

এদিকে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, এডিবির ৩৩ কোটি ৮০ লাখ ডলারের ঋণের মধ্যে অর্ধেক পাওয়া যাবে মাত্র দুই ২ শতাংশ সুদে, আর বাকি অর্ধেক পাওয়া যাবে বাজারে প্রচলিত সুদের থেকে অনেক কম হারে। সরকার এই প্রকল্পের ব্যাপারে অত্যন্ত আশাবাদী। দ্রুততম সময়ে এই প্রকল্প অনুমোদনের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও এ বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে।

Exit mobile version