হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। সংঘাত শুরুর পাঁচ দিনেই নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই হাজার। এর মধ্যেই এবার গাজায় স্থল আক্রমণের হুমকি দিয়েছে ইসরাইল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে স্থল আক্রমণের মাধ্যমে যুদ্ধ বিস্তারের কথা জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ত।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোরব) গাজা সীমান্তের কাছে ইসরাইলি সেনাদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, ‘আমরা আকাশপথে আক্রমণ শুরু করেছি, পরে স্থল থেকেও আসব। আমরা সংঘাতের দ্বিতীয় দিন থেকে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করছি এবং আক্রমণাত্মক রয়েছি। এটি আরও তীব্র হবে।’
হুমকি দিয়ে তিনি বলেন,
হামাস পরিবর্তন চেয়েছিল এবং তারা একটি পরিবর্তন পাবে। গাজায় যা ছিল, তা আর থাকবে না।
এর আগে সোমবার (৯ অক্টোবর) গাজা উপত্যকায় ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ ঘোষণা করেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার এবং জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’
ইওয়াভ গ্যালান্ত আরও বলেন,
আমি গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরোধের নির্দেশ দিয়েছি। বিদ্যুৎ, খাবার, গ্যাসসহ সবকিছুই সেখানে বন্ধ থাকবে। আমরা মানবপশুদের সঙ্গে লড়াই করছি এবং আমাদের সেভাবেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, গাজার বাসিন্দাদের প্রায় ৮০ শতাংশ আন্তর্জাতিক ত্রাণসহায়তার ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিনকার খাদ্যসহায়তার ওপর নির্ভর করে বেঁচে থাকেন সেখানকার প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
এদিকে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর তীব্র হামলার মধ্যেও ইসরাইলের ভেতরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। তাদের ঠেকাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর (আইডিএফ)। এরইমধ্যে হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহত হয়েছেন অন্তত ১২০০ মানুষ। আর ইসরাইলের হামলায় গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৯৫০ জন।