ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার মুখে ইসরাইল ছাড়তে মারিয়া হয়ে উঠেছেন দেশটির বাসিন্দারা। যাত্রীদের ঢল নেমেছে ইসরাইলের বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ইসরাইল থেকে ফ্লাইট স্থগিত করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স।
স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যমতে, হামলার পর থেকেই একের পর এক এয়ারলাইন্স ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণা দিচ্ছে। মার্কিন বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। এছাড়াও এ তালিকায় জার্মানি, আমিরাত, গ্রিস, ফরাসি ও ইতালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্লাইটও আছে।
ইসরাইলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ বন্ধ। সব ধরনের অপারেশন পরিচালনা করা হচ্ছে বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনাল দিয়ে। এতে বিমানবন্দরে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। একদিনে এ বিমানবন্দর দিয়ে অন্তত ৬০ হাজার যাত্রী বাইরে গেছেন।
এদিকে, হামাসের হামলার মুখে ইসরাইল থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সামরিক বিমান পাঠাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। এরই মধ্যে সার্বিয়ার নাগরিকরা ইসরাইল ছেড়েছে। পোল্যান্ডের নাগরিকদের জন্য সামরিক বিমান পাঠাচ্ছে দেশটির সরকার।
অন্যদিকে মিডল ইস্ট মনিটর বলছে, তেল আবিবের ইউরোপিয়ান দূতাবাসগুলোতে ইসরাইলি নাগরিকদের দীর্ঘ লাইন পড়ে গেছে। তবে নাগরিকদের মধ্য পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলোতে সফর করতে নিষেধ করেছেন একইসঙ্গে যারা এখনো অবস্থান করছেন তাদের দ্রুত নিরাপদে সরে যেতে বলে হয়েছে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোর থেকে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের জবাব দিতে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলা শুরু করে হামাস। এ পর্যন্ত ইসরাইলে ৭০০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৩০০ হন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে ইসরাইলের পাল্টা হামলায় গাজায় ৪১৩ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে ইসরাইল। এর মধ্যে ৭৮ শিশু ও ৪১ জন নারী রয়েছে।