Homeসর্বশেষ সংবাদদখল করা জমিতে বসছে বাজার, দৈনিক ৮ লাখ টাকা চাঁদা আদায়

দখল করা জমিতে বসছে বাজার, দৈনিক ৮ লাখ টাকা চাঁদা আদায়

বরিশাল নগরীর হাউজিং প্রকল্প ও জেলা পরিষদের জমি দখল করে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন সেখান থেকে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। তবে চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। অবশ্য অভিযোগ পেলে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস নগর পুলিশ প্রধানের।

বরিশাল নগরীর রূপাতলী হাউজিং এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, খালি জায়গায় যে যেখানে পেরেছেন বসিয়েছেন অস্থায়ী দোকান। এমনকি বাদ যায়নি হাউজিং বাজার নির্মাণের জন্য নির্ধারিত ২৮ শতাংশ জায়গাও। পরিপাটি এমন বাজার দেখে বোঝার উপায় নেই পুরোটা নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধভাবে দখল করে।

এসব অস্থায়ী দোকানের মালিকরা জানায়, পেটের দায়ে চাঁদা দিয়ে দোকান চালাচ্ছেন তারা। প্রতিদিন ৫০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয় তাদের। এছাড়া লাইট ও ফ্যান প্রতি দিতে হয় ২০ টাকা। অভিযোগ আছে এসবের পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করেন নবনির্বাচিত কাউন্সিল সুলতান মাহমুদের লোক হিসেবে পরিচিত বেল্লাল ও মিল্টন। এছাড়া চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে কয়েকজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও।

এ বিষয়ে বেল্লাল ও মিল্টনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদের দাবি, বাজার থেকে কোনো চাঁদাবাজি করা হয় না। বেল্লালকে ১৫ হাজার টাকা বেতনে রাখা হয়েছে। সে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি করে না। মিল্টন ও আমি মিলে বাজারটি তৈরি করেছি। চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি হাউজিং কর্তৃপক্ষ।

তবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর জানান, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে হাইকোর্টে মামলা দিয়ে জমি জবরদখল করা হয়েছে। সেখানেই চলছে অবৈধ দোকান দিয়ে চাঁদাবাজি। দ্রুত কোর্ট থেকে রায় পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে অভিযোগ পেলে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম।

রূপাতলী হাউজিং বাজারে বর্তমানে ৫০ থেকে ৭০টি অস্থায়ী দোকান আছে। প্রতিদিন এসব দোকান থেকে ৬ থেকে ৮ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

সর্বশেষ খবর