নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আয়োজিত দুদিনের উই সামিটের পর্দা নামল। শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) সমাপনী দিনে বিভিন্ন চড়াই—উৎরাই পেরিয়ে সফল হওয়া ২০ নারী উদ্যোক্তার হাতে তুলে দেয়া হয় ‘জয়ী অ্যাওয়ার্ড’। এমন উদ্যোগ নারীদের এগিয়ে যেতে উৎসাহ দেবে বলে মনে করেন জয়ীরা।
তারা বলেন, ‘উই থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা যারা উইতে কাজ করি, তাদের একটা স্বপ্ন থাকে যে, কখন আমরা এ অ্যাওয়ার্ডটা পাবো। কখন ভালো কাজ করবো, তখন কীভাবে এ অ্যাওয়ার্ডটা পাবো। এটা হবে আমাদের জন্য অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।’
নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশে উইয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করেন অতিথিরা।
অভিনেত্রী শমী কায়সার বলেন, ‘নারীরা যারা পুরস্কার পাচ্ছেন, তারা অনেক ভালো কাজ করছেন। একজন নারীর পুরস্কার পাওয়া আরও ১০ জন নারীকে উৎসাহিত করবে।’
চিত্রনায়িকা বর্ষা বলেন,
আমার ক্যারিয়ারে আমি যত জায়গায় গেছি, মনে হচ্ছে এটা বেস্ট ছিল। বিশেষ করে একটা জিনিস খুবই ভালো লেগেছে যে, যারা হিজাব পরে ঘরে বসে উপার্জন করছে, তাদের পণ্যটাও বিদেশে চলে যাচ্ছে। বিদেশের মানুষের কাছে বাংলাদেশের নামটা উজ্জ্বল হচ্ছে।
নারীরাই নারীদেরকে এগিয়ে নেবে বলে মনে করেন উইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা। তিনি বলেন, ‘আমার ইচ্ছা আছে, এখন যেখানে আছে, সেটা শুধু এখানেই থাকবে না। এটা আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন,
নারীরা এগিয়ে গেলেই দেশ এগিয়ে যাবে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী পিছিয়ে থাকলে দেশ কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। নারী উদ্যোক্তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে দেশ, এগিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি।
নারীদের অগ্রযাত্রায় সবাইকে সহযোগী হওয়ার আহ্বান জানালেন ডা. দীপু মনি। আর নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও পর্যাপ্ত ঋণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
আগের দিন শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সারা দেশ থেকে আসা ই-কমার্স খাতের সঙ্গে যুক্ত নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে আইসিসিবিতে ‘উইমেন ই-কমার্স এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সামিট (উই সামিট) ২০২৩’ উদ্বোধন করা হয়। উই সামিটের সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে পুরস্কার ও সম্মাননা বিজয়ী প্রত্যেককে সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট), উত্তরীয়, সনদ এবং উপহার দেয়া হয়।