Homeরাজনীতিবিএনপির জন্য কি আমরা সুইসাইড করব, প্রশ্ন কাদেরের

বিএনপির জন্য কি আমরা সুইসাইড করব, প্রশ্ন কাদেরের

বিএনপি মনে করে আওয়ামী লীগ হেরে গেলেই অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে। সেক্ষেত্রে বিএনপির জন্য আমরা কি সুইসাইড করব, এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন,

যে কোনো মূল্যে তারা নির্বাচনে জিততে চায়। এখন জয়ের এই গ্যারান্টি তাদের কে দেবে? নির্বাচন কমিশন কী দেবে? গ্যারান্টি না দিলে তো তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ের নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

‘নির্বাচন সময়মতো হবে, সংবিধান মতোই হবে। আওয়ামী লীগ হেরে গেলেই বিএনপির কাছে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে, সেটাই মনে করে তারা। সেক্ষেত্রে বিএনপির জন্য আমরা কি সুইসাইড করব?’ প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন,

যে কোন মূল্যে তারা নির্বাচনে জিততে চায়। এখন জয়ের এই গ্যারান্টি তাদের কে দেবে? নির্বাচন কমিশন কী দেবে? গ্যারান্টি না দিলে তো তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। ক্ষমতার ক্ষুধায় জ্বলছে তারা।

ভারতের সহযোগিতায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে- এটি উদ্ভট চিন্তাভাবনা বলেও মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে ভারত বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সম্পর্কের বিষয়টি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত নয়।

তিনি বলেন, ‘দেশে সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে ভারত বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ভারতের সঙ্গে আমাদের (আওয়ামী লীগের) সম্পর্ক ভালো আছে, তারা পরীক্ষিত বন্ধু। আমেরিকার সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো আছে।’

গত মঙ্গলবার সাভারের আমিনবাজারে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কোথায় নিষেধাজ্ঞা? কোথায় ভিসা নীতি? তলে তলে আপস হয়ে গেছে। দিল্লি আছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার। আমরা আছি, দিল্লিও আছে। দিল্লি আছে, আমরা আছি। শত্রুতা কারো সঙ্গে নেই।’ এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে যারা বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ হবে। আমরা তো সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, তাহলে ভিসানীতির প্রশ্ন উঠবে কেন?

তিনি বলেন, ‘জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যার যে সেলফি—তখনও তো কিছু কথা হয়েছে। সেটা তো এখন বলাবলি হচ্ছে। এটা তো আর প্রকাশ্যে আসেনি। মিডিয়াতেও আসেনি। সুতরাং তলে তলে আপস মানে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন বা আমাদের সম্পর্ক ভালো আছে। আমি সেটা বুঝাতে চেয়েছি।’

বিষয়টির নেতিবাচকতার প্রসঙ্গ টানা হলে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা বলেন,

কেউ নেতিবাচকভাবে নিতে চাইলে অসুবিধা কী? তলে তলে যে বলি সেটা পাবলিক খায়। খেলা হবে যে বলি, এটাও পাবলিক খায়। জনগণ চায় বলেই তো সেটা বলি, বলব।

Exit mobile version