শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার তোলা অভিযোগ তদন্ত হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অভিযোগটি বেশ ‘গুরুতর’। এটা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
চলতি বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সারেতে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হারদিপ সিং নিজ্জারকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনার চার মাস পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডা পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ভারতের হাত রয়েছে। সেই সঙ্গে এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে অটোয়া।
তবে ভারত কানাডা সরকারের এই অভিযোগ অস্বীকার করে। সেই সঙ্গে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কানাডার এক কূটনীতিক বহিষ্কার করে। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন অব্যাহত রয়েছে। চলতি সপ্তাহে কানাডার আরও ৪১ কূটনীতিককে সরিয়ে নিতে কানাডা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
হারদীপ সিং হত্যা ইস্যুতে ভারত ও কানাডার মধ্যে চলমান ইস্যু নিয়ে এর আগেও কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেও হারদীপ সিং হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।
বৈঠকের পর কিরবি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিষয়টি মিমাংসার জন্য দেশ দুটির ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তারাই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্যদিয়ে এর সমাধান করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে, এটা একটা গুরুতর অভিযোগ। এটা পরিপূর্ণভাবে তদন্ত হওয়া দরকার। যেটা আমরা আগেও বলেছি। আমরা ভারতকে এই তদন্তে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ করছি।’
এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে কানাডা তদন্ত চলছে। অপরাধীদের বিচারের অওতায় আনা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কানাডার এই তদন্ত প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।’