আরও একবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন লিওনেল মেসি। তরুণদের শিক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় অর্থায়নের জন্য তার বিশ্বকাপের অমূল্য জার্সি দান করেছেন আর্জেন্টাইন এই তারকা। যুক্তরাষ্ট্রের গায়িকা সেলেনা গোমেজের চ্যারিটি ‘রেয়ার ইম্প্যাক্ট ফান্ডের’ অর্থায়নের জন্য জার্সিটি দান করেছেন তিনি। নিলামে যার ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৬ হাজার ডলার।
লিওনেল মেসি, যার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে ফুটবলের ইতিহাসের পাতায়। ফুটবলের সম্ভাব্য সব অর্জনই আছে তার নামের পাশে। সবশেষ কাতার বিশ্বকাপে স্বপ্নের ট্রফি জয় করে আমরত্বের সুধা পন করেছেন এলএমটেন। ইউরোপ মাতিয়ে এখন মার্কিন মুল্লুকে পাড়ি জমিয়েও শান্ত হননি আর্জেন্টাইন তারকা। অলৌকিক যাদুতে বস করেছেন যুক্তরাষ্ট্রবাসীকেও।
সবসময় ফুটবলের জন্য শিরানোমে আসা মেসি এবার অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ও শিক্ষার জন্য তার বিশ্বকাপের অমূল্য জার্সি দান করেছেন মেসি। মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী সেলেনা গোমেজের চ্যারিটি রেয়ার ইম্প্যাক্ট ফান্ডের অর্থায়নের জন্য জার্সিটি দান করেছেন তিনি। চলতি অক্টোবরে নিলামে তোলা হবে জার্সিটি। নিলামে মেসির জার্সিটির ভিত্তিমূল্য রাখা হয়েছে ৬ হাজার ডলার। অক্টোবর মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে নিলাম কার্যক্রম। তবে আয়োজকদের ধারণা, ভিত্তি মূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি হবে মেসির জার্সিটি। আর এখান থেকে পাওয়া অর্থ ব্যয় করা হবে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবায়।
এর আগে এমএলএসে মেসির খেলা দেখতে এসে রিয়্যাকশন দিয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন সেলেনা। এবার মেসির উদারতায় আরও একবার মুগ্ধ হলেন জাস্টিন বিবারের প্রাক্তণ।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও মানবিকতার দৃষ্টান্ত দেখিয়েছিলেন মেসি। বার্সেলোনায় থাকাকালীন বেশ কিছু সোশ্যাল এক্টিভিটিসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে ইউনিসেফের ব্যান্ড অ্যাম্বাসিডর ছিলেন মেসি। যেখানে অসহায় শিশুদের পাশে দাড়িয়েছিলেন তিনি। বার্সেলোনা ক্লাব বেতনের একটি অংশ ব্যয় করতেন তাদের পেছনে। এছাড়াও তার নিজস্ব লিও মেসি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছেন তিনি। যেখানে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করেন লিও। কোভিডের সময়ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করে গেছে মেসির ফাউন্ডেশন।