মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি।।
কিশোরগঞ্জে একই দিনে পৃথক দুইটি ঘটনায় হত্যা ও আত্বহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ থানা সুত্রে জানা গেছে, বাহাগিলী ইউনিয়নের নেতরারবাজার এলাকার তেলেঙ্গা রায়ের ছেলে সুমন রায় ও তার দলবলের সাথে মারামারিতে একই এলাকার হরিশ চন্দ্রের ছেলে সুধির চন্দ্র রায় (৬২) গুরত্বর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। রবিবাব সকালে শৈলেন্দ্র রায়ের জমির ৫ টি সুপারির গাছ কেঁটে সেই স্থানে গর্ত করে সুমন চন্দ্র রায় ও কমল চন্দ্র রায়। এতে সুধির চন্দ্র রায় বাঁধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে থামিয়ে দেয়। ওই ঘটনার পর সুধির চন্দ্র নেতরার বাজারে এলে সুমন চন্দ্র গংরা তাকে একা পেয়ে কিলঘুষি মারে। একপযার্য়ে সুধির মাটিতে পরে গেলে নেতরারবাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে। সোমবার কিশোরগঞ্জ থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে পুলিশ তেলেঙ্গা রায় তার স্ত্রী মিনতি রায়কে গ্রেফতার করেছে। কিশোরগঞ্জ থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-১।
একই দিনে রণচন্ডি ইউনিয়নের বাজারপাড়া এলাকার ফজলুর রহমানের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে ফিরোজা আক্তার নামে এক স্কুল ছাত্রী ঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজীব কুমার রায় জানান, সুধির চন্দ্রের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘঁটনায় স্বামী- স্ত্রী সহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো বলেন, দুই বোনের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার কারণে বড় বোন ফিরোজা বেগম অভিমান করে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেছে। কারো কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।