পাকিস্তানের টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি রাজনৈতিক টক শোতে দুই দলের দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছিল, চরমে পৌঁছেছিল বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে হঠাৎ করে তাদের দুজনের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পাকিস্তানে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) নেতাদের টক শো চলছে। এরই মধ্যে দুই দলের দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। হঠাৎ দুজনের মধ্যে হাতাহাতি-মারামারি।
পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের আইনজীবী শের আফজাল খান মারওয়াত ও পিএমএল-এন-দলীয় সিনেটর আফনান উল্লাহ খানকে নিয়ে সম্প্রতি জিও টিভিতে সম্প্রচারিত টেলিভিশন টক শোতে এ কাণ্ড ঘটে।
দুই নেতাই টক শোতে ওই ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। টক শোতে সিনেটর ও আইনজীবী যুক্তিতর্কে দুজন দুজনকে লক্ষ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করেন এবং একপর্যায়ে আইনজীবী মারওয়াত সিনেটরকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেন। একজন অন্যজনকে কিলঘুষি মারেন।
পরিস্থিতি দেখে টক শোর উপস্থাপক দুজনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। পরে দুই রাজনৈতিক দুদিকে সরে যান।
এক্স হ্যান্ডলে সিনেটর আফনান লেখেন, মারওয়াত প্রথমে তাকে আক্রমণ করেন। তিনি সহিংসতায় বিশ্বাস করেন না। আবার এটাও ঠিক, তিনি ‘নওয়াজ শরিফের সেনা’।
মারওয়াত আরেকটি পোস্টে দাবি করেন, ওই ‘অপ্রীতিকর ঘটনা’ নিয়ে টেলিভিশন টক শোর উপস্থাপক ‘ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছেন’।
পোস্টে মারওয়াত দাবি করেন, ‘তিনি গুজব ছড়াচ্ছেন, আমার প্রতিপক্ষ নাকি অতিমানব। তিনি বাস্তবতাটা তুলে ধরছেন না। আসল সত্য হচ্ছে, আফনান উল্লাহ স্টুডিও থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেছেন এবং পাশের একটি কক্ষে তিনি আশ্রয় নেন। আমি পরে তার অনুষ্ঠান দেখার পর বিষয়টি জানতে পারি।’
মারওয়াত বলেন, তিনি সিনেটর আফনানের বিরুদ্ধে ‘মানহানির মামলার’ পরিকল্পনা করছেন। একই সঙ্গে ফৌজদারি মামলাও করবেন।