প্রথমবারের মতো ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় করতে এসেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় নায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। কথা ছিল ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুটিং করার, তবে তার আগেই ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় চলে যান অভিনেত্রী। শুটিং শেষ না করে নায়িকার এভাবে চলে যাওয়া নিয়ে উঠেছে অভিযোগ ও পাল্টা-অভিযোগ।
আরও একবার জায়েদ খান ও সায়ন্তিকাকে নিয়ে অভিযোগ করলেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ছায়াবাজ সিনেমার যে গল্প এটি নিয়ে আমাদের সিনেমা বানানোর কথা ছিল না। এটি একটি ওয়েব ফিল্মের গল্প। তবে জায়েদ খানের অনুরোধে এটি সিনেমা করা। অথচ সেই জায়েদ খানই আমাকে ফাঁসিয়ে দিল সায়ন্তিকার সঙ্গে মিলে।’
প্রযোজক আরও বলেন, ‘আমার দেশের শিল্পীকে অপমান করবে, আর আমি সেটা মেনে নিয়ে কাজ করব, তা হবে না। আজ সায়ন্তিকা মাইকেলকে অপমান করেছে, কাল অন্য একজনকে করতে পারত, পরশু অন্যজনের সঙ্গে হতো। এর সমাধান না হলে প্রয়োজনে আমি কাজ করব না। আমার যা ক্ষতি হয়, হবে।’
এর আগে জায়েদ খান গণমাধ্যমে কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে বলেন, ‘কস্টিউমের সমস্যা ছিল শুটিং সেটে। আমি নিজে কিছু ড্রেস ম্যাচিং করে নিয়ে এসেছি আমার আর সায়ন্তিকার। এগুলো আমার কাজ নয়। তবুও সিনেমার স্বার্থে আমি এসব করেছি। ড্রেস চেঞ্জ করতে গিয়ে যদি ড্রেস না পাওয়া যায় এবং তার বিকল্প কী হতে পারে এসব ঠিক করবে কে? বিভিন্ন সময়ে প্রযোজক মিথ্যাচার করছেন। তার কথা ও কাজে মিল নেই।’
এ প্রসঙ্গে প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জায়েদ খানকে নায়িকার ড্রেস দিতে হবে কেন? আমি সায়ন্তিকার ড্রেস বাবদ আলাদা ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি। পারিশ্রমিকের মধ্যেই জায়েদ খানের ড্রেসের টাকা ধরা হয়েছে। এতসব মিথ্যাচার আর নিতে পারছি না। আমি ছায়াবাজ সিনেমার কাজ আর করব না। আর যদি করিও, সায়ন্তিকাকে বাদ দিয়ে দেশি শিল্পী নিয়ে নতুন করে এই ছবির কাজ শুরু করব।’
নায়িকা-প্রযোজক ও নায়কের পাল্টাপাল্টি অভিযোগে তাজু কামরুল পরিচালিত ‘ছায়াবাজ’ সিনেমাটি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।