সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতির প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছেন নিউইয়র্ক আদালত। এরইমধ্যে ‘ট্রাম্প সংস্থার’ ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন বার্তাসংস্থা সিএনএন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আদালতের বিচারক আর্থার এনগোরোন ট্রাম্পের এসব অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা জানান। এ কারণে ট্রাম্পের বেশকিছু ব্যবসার লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশ দেন আদালত। এতে নিউইয়র্কে ট্রাম্পের ব্যবসা পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিচারক রায়ে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পদের অতি মূল্যায়নের মাধ্যমে ব্যাংক, ইনস্যুরেন্স ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রতারিত করেছেন। সম্পদের মূল্য বেশি দেখিয়ে ট্রাম্প ও তার প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন চুক্তি করেছেন এবং ঋণ নিয়েছেন।
ট্রাম্পের পারিবারিক কোম্পানি ‘ট্রাম্প সংস্থার’ সম্পদের ব্যাপারে কয়েক বিলিয়ন ডলারের মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগে ২০২২ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের করেন অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিয়া জেমস।
মামলায় ট্রাম্পের তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও এরিক ট্রাম্প এবং ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের দুই নির্বাহী অ্যালেন ওয়েইসেলবার্গ এবং জেফরি ম্যাককনিকেও আসামি করা হয়েছে।
এদিকে আগামী সপ্তাহে তথ্য জালিয়াতির এ অভিযোগ নিয়ে ট্রাম্প এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে শুনানির কথা রয়েছে।
এ নিয়ে গেল ছয় মাসে চারটি অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটন এবং জর্জিয়ার আদালতে ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল পাল্টানোর চেষ্টা, ফ্লোরিডার আদালতে গোপন নথির অপব্যবহার এবং ম্যানহাটন আদালতে ব্যবসায়িক তথ্য জালিয়াতি নিয়ে অভিযুক্ত হলেন তিনি। এসব আইনি বেড়াজাল আগামী বছর আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের ওপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেটিই এখন দেখার বিষয়।