কাতারে বিশ্বকাপ জিতে আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়েছেন লিওনেল মেসি। তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তৎকালীন ক্লাব পিএসজি থেকে কোনো স্বীকৃতি পাননি বলে দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাতকারে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন এমএলটেন। আর্জেন্টাইন তারকার সে বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন প্যারিসিয়ানদের সভাপতি নাসের আল খেলাইফি।
খেলাইফি জানান, মেসিকে যথাসাধ্য অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তারা। কিন্তু ফ্রান্সের স্টেডিয়ামে স্বীকৃতি জানালে সেটা স্পর্শকাতর হতো।
গত বছরের ডিসেম্বরে ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে অবস্থান করা মেসি সে সময় ছিলেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। আলবিসেলেস্তেদের কাছে পরাজিত হওয়া সমর্থকদের সামনে এক প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে তাই অভ্যর্থনা জানানোর সাহস করেনি তার ক্লাব পিএসজি।
বিষয়টি ব্যাখা করে খেলাইফি বলেন, ‘সম্মান রেখে বলতে হয়, আমরা একটি ফরাসি ক্লাব। স্টেডিয়ামে তাই উদযাপন করাটা অবশ্যই স্পর্শকাতর ছিল। তিনি (মেসি) যে দলকে হারিয়েছেন তাদের, তার পিএসজি সতীর্থদের ও আমাদের সমর্থকদেরও সম্মান করতে হবে।’
তবে এসব বাধ্যবাধকতার মাঝেও বিশ্বকাপ জয়ের জন্য মেসিকে যথাসাধ্য অভ্যর্থনা জানিয়েছে পিএসজি। খেলাইফি বলেন, ‘সবাই দেখেছে, বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্লাবের অনুশীলনে মেসিকে নিয়ে আমরা উদযাপন করেছি। এটা নিয়ে একটা ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া গোপনেও তাকে নিয়ে আমরা উদযাপন করেছি।’
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আরএমসি স্পোর্টকে দেয়া সাক্ষাতকারে মেসি আক্ষেপ প্রকাশ করেন। বিশ্বকাপ জয়ের পর মাঠে ফিরে নিজ নিজ ক্লাবে অভ্যর্থনা পেয়েছিল আর্জেন্টিনার প্রায় সব খেলোয়াড়। কিন্তু আর্জেন্টাইনদের বিশ্ব জয়ের নায়ক মেসিই ছিলেন অবহেলিত।
মেসি বলেন, ‘আর্জেন্টিনার পুরো দলে আমিই একমাত্র খেলোয়াড় যে কিনা ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো স্বীকৃতি পায়নি। তবে ঠিক আছে, সমস্যা নেই।’
শুধু স্বীকৃতি পাওয়ার আক্ষেপ নয়। সাত বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী বলছেন, প্যারিসে থাকা সময়টাও উপভোগ করেননি তিনি।
তিনি বলেন, `পিএসজির সময়টা আশানুরূপ কাটেনি। তবে আমি সবসময়ই বলি, সবকিছু ঘটার পেছনেই কোনো না কোনো কারণ থাকে। যদিও আমি সেখানে খুশি ছিলাম না, কিন্তু সেখানে থেকেই আমি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সবকিছুর পেছনেই কারণ আছে।’