অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ করছে বিএনপি৷ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানী নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে ইতিমধ্যে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা৷ এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনেও অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনের অংশ৷ সমন্বিতভাবে সমাবেশের আয়োজন করছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন৷ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ এছাড়া উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতারা৷
সকালে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা বলছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই বেগম জিয়াকে আটকে রেখেছে বর্তমান সরকার৷ গুরুতর অসুস্থ বেগম জিয়াকে এখনই বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য না পাঠালে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে বলে শঙ্কা তাদের৷ অবিলম্বে বেগম যাকে মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিএনপি সমর্থকদের৷
এদিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জিয়া প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। এত উপস্থিতি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক।
প্রসঙ্গত: বর্তমানে শারীরিক অবস্থার অবনতির হওয়ায় গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সাত ঘণ্টা পর তাকে আবার কেবিনে দেয়া হয়। এরপর শুক্রবার আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এছাড়া, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরইমধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তিনি এ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর সরকারের নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়া কারাগারের বাইরে আছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় তার। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই ছিলেন। তবে বর্তমানে হাসপাতালে রয়েছেন।