ঢাকাই সিনেমার আলোচিত দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমণি। আর অভিনেতা রাজকে ডিভোর্স নোটিশ দিয়ে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সংসারের ইতি টানলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি।
টক অব দ্য টাউন রাজ-পরীর ডিভোর্স ইস্যু। এখন প্রশ্ন উঠেছে: এ নিয়ে কতবার সংসার ভাঙল পরীমণির?
রাজের সঙ্গে বিয়ের আগে পরীর আরও কিছু সম্পর্কের কথা জানা যায়। তবে পরী নিজ থেকে তিনটি বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন সেসব বিয়ের কথা।
পরীমণি প্রথম সম্পর্কের কথা জানান ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। এক সাংবাদিকের প্রেমে জড়ান তিনি। দীর্ঘ সময় প্রেমের পর বাগদানও হয় এই জুটির। স্বামীকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ঘুরে বেড়ান। কিন্তু সেই সংসার স্থায়িত্ব পায়নি। বিয়ের এক বছর পার না হতেই বিচ্ছেদ ঘটে এ দম্পতির।
এরপর ২০২০ সালের ৯ মার্চ আবারও বিয়ে করেন পরী। সেদিন রাতে অভিনেত্রী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজি ডেকে তার সহকারী কামরুজ্জামান রনিকে মাত্র তিন টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। কিন্তু সে বিয়েও বেশি দিন টেকেনি।
তিন নম্বর ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা শরিফুল রাজকে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মাত্র সাত দিনের পরিচয়ে বিয়ে করেছিলেন তারা। সেই খবর প্রকাশ্যে আনেন ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি। এই সংসারও দুই বছরের মাথায় ভেঙে গেল অভিনেত্রীর। স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে শরিফুল রাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন তিনি।
এই তিন বিয়ে ও বিচ্ছেদের খবরে পরী ব্যাপক আলোচিত হলেও তাকে ঘিরে আরও কিছু বিয়ে ও বিচ্ছেদের কথা বিভিন্ন সময়েই প্রকাশ পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
চলচ্চিত্রে আসার আগে স্মৃতি ওরফে পরীমণি ২০১০ সালে তার এসএসসি পাসের আগেই নানার কথামতো গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন এবং বিয়ের দু-বছর পর তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে হঠাৎ ফেসবুকে ভাইরাল হয় পরীণির সঙ্গে দুজনের বিয়ের খবর। এমনকি বিয়ের ছবি, কাবিননামা ও তালাকনামার ছবিও প্রকাশ পায় সে সময়। এক ফেসবুক আইডি থেকে ছবিগুলো শেয়ার করে দাবি করা হয়, পরীমণি ইসমাইল নামের একজনের স্ত্রী।
এর পর ২৮ এপ্রিল ২০১২ সালে কেশবপুরের ফুটবলার ফেরদৌস কবীর সৌরভের সঙ্গে পরীমণির বিয়ে হয় এবং দুর্ভাগ্যবশত সেটিও ভেঙে যায়।
কিছুদিন পরেই ফেসবুকে পাওয়া যায় সৌরভ কবীর নামের আরও একজনের সঙ্গে তার বিয়ের কাবিননামা এবং কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি। সিনেমায় অভিষেক হওয়ার ঠিক আগের দু-বছর অর্থাৎ নাটকে অভিনয় করার সময় সেতু নামের এক ফটোগ্রাফারের সঙ্গেও বিয়ের খবর শোনা যায় পরীমণির। তাদের নাকি দুই বছরের সংসারও ছিল।
ক্যারিয়ার, সন্তান সবকিছু ঠিক থাকলেও রাজ-পরীর মনোমালিন্যের খবর প্রায়ই উঠে আসত গণমাধ্যমে। তবে এ বিষয়ে রাজ বরাবরই চুপ থাকলেও পরীমণি ঘটা করেই জানান দিতেন তাদের সাংসারিক ঝামেলার কথা। তবে বারবার মিলে গিয়ে তারা ফের শোনাতেন একসঙ্গে থাকতে চাওয়ার আশার বাণীও। তবে আর একসঙ্গে থাকা হলো না রাজ-পরীর। ডিভোর্স নোটিশ পাঠানোর মধ্য দিয়ে নিজেদের সম্পর্কের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছেন এবার পরীমণি নিজেই।