Homeআন্তর্জাতিকইরানের পরমাণু অস্ত্র থাকলে সৌদিরও থাকতে হবে: সালমান

ইরানের পরমাণু অস্ত্র থাকলে সৌদিরও থাকতে হবে: সালমান

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ইরানের যদি পরমাণু অস্ত্র থাকে তাহলে আমাদেরও থাকতে হবে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি।

ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের ঐতিহাসিক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়ার অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানান মোহাম্মদ বিন সালমান।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরাইলের সম্ভাব্য ছাড় প্রদান, সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান এবং দেশটিকে বেসামরিক পরমাণু প্রযুক্তি অর্জনে সহায়তা করা।

প্রিন্স মোহাম্মদ সালমান বলেন, রিয়াদের কাছে ফিলিস্তিনি ইস্যুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটার সমাধান চাই।

তিনি বলেন,

বিষয়টি কোথায় যায়, তা আমরা দেখতে চাই। আমরা আশা করছি, আমরা এমন এক স্থানে পৌঁছাতে পারব, সেখানে ফিলিস্তিনিদের জীবন সহজ হবে, ইসরাইলকে মধ্যপ্রাচ্যের একটি খেলোয়াড় হিসেবে পাব।

ফক্স নিউজের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ সতর্ক করে বলেন, ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হয়, তাহলে তার দেশও সেটি খুঁজবে। তিনি বলেন, যদি তারা একটি পায়, আমাদেরও একটি পেতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল ও সৌদি আরবসহ আরও কয়েকটি আরব রাষ্ট্র ইরানের প্রতি পারস্পরিক শত্রুতা পোষণ করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ও সৌদি আরব পারস্পারিক সম্পর্কের অনেক উন্নতি করেছে। চীনের মধ্যস্থতায় সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার চুক্তি করার পর উভয় দেশ দূতাবাস চালুর পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে। ইরানে বিনিয়োগেরও ঘোষণা দিয়েছে রিয়াদ।

ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টার অভিযোগ করা হলেও তেহরান বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্র-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র।

Exit mobile version