দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। জাতীয় নির্বাচনের সময়ও শর্তের বেড়াজালে আবদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় যোগ্যতা হারিয়েছেন আগেই। এবার তার রাজনীতি করা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি জেলে থাকা অবস্থায় অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২ বছর ১ মাস ১৭ দিন পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান বেগম জিয়া। এরপর থেকে বাসা ও হাসপাতালে কাটছে তার জীবন। মুক্তির শর্তে রাজনীতি নিষেধ না হলেও বিএনপি নেত্রীকে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ অষ্টমবারের মতো বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার, যা কার্যকর হবে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে। শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৫ মার্চ। এর মধ্যে জানুয়ারিতে হবে দেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, নির্বাচনের সুযোগ তো পাবেনই না, সেই সঙ্গে রাজনীতির মাঠেও নামতে পারবেন না বিএনপি নেত্রী।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে দুটি সাজা বিদ্যমান। সাজা বিদ্যমান রেখে সংবিধান অনুযায়ী তিনি নির্বাচনের যোগ্য নন। কাজেই ওনার তো নির্বাচন করার প্রশ্নই আসে না। আর যদি রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে দেন, তাহলে সেটি ভিন্ন বিষয়।
বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলছেন, নির্বাচন বা রাজনীতি নয়, তারা এখন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন।
কায়সার কামাল বলেন, যেহেতু নির্বাহী আদেশে তিনি জামিন পেয়েছেন, তাই তার নির্বাচন বা রাজনীতি করার বিষয়টি নির্বাহী পরিষদের হাতে। তবে একজন মানুষের জীবন রক্ষার্থে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর আহ্বানও জানান তিনি।
বর্তমানে ১ মাস ১০ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি নেত্রীর অসুস্থতাকে ইস্যু করে রাজনীতি করছে দলটি।