নুরুজ্জামান হোসেন, হিলি দিনাজপুর।।
মোঃ মোস্তাফিজর রহমান স্ত্রীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জানান জানতে পারি যে, গত ০৭/১০/২০১৮ ইং তারিখে মেসার্স মদিনার ট্রেডার্স প্রোঃ নার্গিস পারভীন নামে তৎকালীন ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড দিনাজপুর শাখার ব্যবস্থাপক, শাহাজাহান নিজেই স্বাক্ষর জাল করিয়া একটি একাউন্ট খুলেন যাহার একাউন্ট নং- ৪৫৭৮ এবং উক্ত একাউন্ট হইতে ১৬/১০/২০১৮- ও 22/10/2018 তারিখে ৩টি ডিলের মাধ্যমে ৯৯ লক্ষ ( নিরানব্বই লক্ষ) টাকা উত্তোলন করেন, ৪৮১৬৩৮১,৪৮১৬৩৮ ২.৪৮১৬৩৮৬। পরবর্তীতে উক্ত শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম এর আমলে এই লোনটি ধরা পড়ে। তৎকালিন ব্যবস্থাপকের নিকট ১৪/০৫/২০১৯ সালে ডাক যোগে রেজিঃ চিঠির মাধ্যমে জানতে চাইলে, তিনি উত্তর না দিয়ে রেজিঃ চিঠির খাম সহ ফেরত পাঠান।
তৎকালিন ব্যবস্থাপক জানান, ইসলামী ব্যাংক শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংক, ফলে এখানে জালিয়াতি, অপকর্ম, কর্মকান্ড সাধিত হয় না, ইসলামের দোহায় দিয়ে আমাদের নিকট হইতে উক্ত লোনের বিপরীতে ০৬/১০/২০১৯ ইং তারিখে পুনরায় একাউন্ট খুলেন যাহার একাউন্ট নং-৪৫৭৮ একই, যাহার চেক বই নং-৫২০৮০৮১ হইতে ৫২০৮০৯০। অতপর ব্যবস্থাপক রফিকুল মিয়া ৯২.০০ শতক জমি মর্গেজ করিয়া নেওয়ার পরে ১৫/১০/২০১৯ ইং তারিখ মাত্র ৯দিন পর আদালতে চেক ডিজঅর্ডার মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলা চলমান রহিয়াছে বাস্তব কথা উক্ত লোনের কোন টাকা আমি গ্রহন করি নাই।
ব্যাংক কর্মকর্তারাই জাল স্বাক্ষর করিয়া অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তারা নিজেরা বাঁচার জন্য আমার উপর চেকের মামলা দিয়েছেন। আমি দিনাজপুর শাখার ব্যবস্থাপক, রংপুর জোনাল ও ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে যোগযোগ করিয়া কোন প্রকার সদউত্তর পাইনাই। নিরুউপায় হয়ে সর্বশেষ ১৮/০১/২০২২ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর আবেদন করেছিলাম বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে কোন প্রকার লিখিত উত্তর পাই নাই । জালিয়াতির নমুনা স্বরুপ একই একাউন্টে ৪৫৭৮ দুইটি চেক বই সিরিয়াল – ৮১৬৩৮১ হইতের ৮১৬৩-০ (জালিয়াতি) ও ৫২০৮০৮১ হইতে ৫২০৮০৯০ (আসল) আমার ব্যবসায়ী জীবনে কোন দিন একই একাউন্টের ডবল চেক বই দুইটি দুররকম স্বাক্ষরের দেখি নাই ।
মামলা হইতে আমার পরিবারকে বাঁচানোর জন্য দিনাজপুর শাখায় ও রংপুর জোনাল অফিসে ৮মাস যাবৎ যোগযোগ করেছি এমনকি, আল-বুশরা ট্রেড লিংক এর এলসি লিমিট (নন ফান্ডেড) ১:০০ কোটি টাকা মরগেজ ১.৫৪ শতক কৃষি জমি বিক্রয় করিয়া (দায়- দেনাহীন) যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৩২.০০ লক্ষ টাকা দিতে চেয়েছিলাম অবশিষ্ট ৬২.০০ লক্ষ টাকা এক বৎসর মেয়াদে মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করিব এই মর্মে আবেদন করেছিলাম কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ শাখা হইতে হেড অফিস পর্যন্ত আমাকে মৌখিক ভাবে জানাইয়া দেন মরগেজ কোন সম্পত্তি বিক্রয় করা যাবে না।
আপনি মরগেজ ছাড়া আপনার নিজ সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া আমাদের ব্যাংকের লোন পরিশোধ করুন, এইটা অমানবিক আচরন। আমার পরিবারের উপর জুলুম অত্যাচার করা হচ্ছে। আমি আদালত ও দেশ বাসিকে ইসলামী ব্যাংক দিনাজপুর শাখার এই জালিয়াতির ঘটনা সাংবাদিক সম্মেলন করিয়া সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানাইতে চাই। প্রকাশ থাকে যে, উক্ত লোনের বিপরীতে কোন প্রকার ভাউচার ব্যাংক আমাকে প্রদান করে নাই। লোনের বিবরন একাউন্ট স্টেটমেন্টে নাই
নিশাজপুর জজ কোর্টের আদালতে দায়রা জজ যুগ্ম আদালত- (১) ৫৯৫/২১. ১১২৮/২১, দায়রা জজ যুগ্ম আদালত- (৩) ১৫৫২/২২। আদালতের নিকট আমার আকুল আবেদন ইসলামী ব্যাংক দিনাজপুর শাখার চেক জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলা ৩টি তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার করনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনাদের মর্জি হয়।