বাংলাদেশকে রিকন্ডিশন্ড সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি আমদানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে আরও মনোযোগ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কে ফেয়ার টেকনোলজি-হুন্ডাই কারখানা পরিদর্শনকালে একথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন,
স্থানীয় অটোমোবাইল উৎপাদন শিল্পকে উৎসাহিত করা দরকার, যাতে বাংলাদেশ সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি আমদানি নির্ভরতা হ্রাস করে নিজস্ব গাড়ি তৈরি করতে পারে। দেশীয়ভাবে তৈরি গাড়ি পরিবেশের জন্যও ভালো হবে।
অনেক দেশ এরইমধ্যে পুরোনো গাড়ি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে এবং বাংলাদেশও একই ধরনের নীতি গ্রহণ করতে পারে বলে জানান রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। তিনি বলেন, মঙ্গোলিয়া ও লাওসের মতো উন্নয়নশীল দেশের মতো বাংলাদেশও পুরানো গাড়ি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশ যদি উৎপাদনের ক্ষেত্র প্রসারিত করে, তাহলে দেশে মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। এজন্য দেশে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উন্নত কর ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনিয়োগ পরিবেশের আরও উন্নতি করতে হবে।
বাংলাদেশ কীভাবে উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে তার একটি অনন্য উদাহরণ এই গাড়ি উৎপাদন কারখানা বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন,
বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করতে সামনের দীর্ঘযাত্রায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের একসঙ্গে অনেক কাজ করা প্রয়োজন।
ফেয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, ‘বাংলাদেশে উৎপাদিত হুন্দাই গাড়ি পাঁচ বছরের ওয়ারেন্টিসহ সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে। সারা দেশে ফেয়ার গ্রুপের পরিষেবা কেন্দ্র সম্প্রসরণ করা হচ্ছে।’
ভবিষ্যতে বাংলাদেশের তৈরি গাড়ি রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি মাসে ১৫০টি হুন্ডাই গাড়ি অ্যাসেম্বল করা হচ্ছে এবং আগামী বছর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে ৬ হাজার গাড়ি পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেয়ার টেকনোলজি লিমিটেডের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুতাসিম দাইয়ান প্রমুখ।