যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় নিহত ভারতীয় শিক্ষার্থী জাহ্নবী কান্দুলা নিয়ে স্থানীয় পুলিশের হাস্যরসের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভারতীয়রা। বিক্ষোভ-সমালোচনার মুখে এবার আত্মপক্ষ সমর্থন করে মুখ খুলেছেন সিয়াটলের অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা ড্যানিয়েল অডারার।
সিয়াটল টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেভিন প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কান্দুলা নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সিয়াটল ক্যাম্পাসে মাস্টার্সের ছাত্রী ছিলেন। সিয়াটল পুলিশ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ভিডিও অনুসারে, দুর্ঘটনার বিষয়ে আলোচনার সময় অন্য একজন পুলিশ সদস্যকে রসিকতা করতে ও হাসতে শোনা যায়। সিয়াটল পুলিশ অফিসার্স গিল্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল অডেরারকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল যে দুর্ঘটনার সময় গাড়ি চালক কেভিন নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না। পরে এই বিষয়ে ড্যানিয়েল পুলিশ গিল্ডের সভাপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন, যা তার বডি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। সেই ভিডিওই ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে জাহ্নবীর মৃত্যু নিয়ে ড্যানিয়েলকে ঠাট্টা করতে শোনা যায়। গিল্ড সভাপতি মাইক সোলানকে ড্যানিয়েল বলেন, ‘২৬ বছর বয়স, খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। শুধু একটা চেক লিখে দিলেই হবে। ১১ হাজার ডলারই যথেষ্ট।’
তার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাতিষ্ঠানিক বৈষম্য ও পুলিশের নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ভারতীয়রা। বিক্ষোভের মুখে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ড্যানিয়েল বলেছেন, ‘তার এই মন্তব্য ঘটনা বহির্ভূতভাবে নেয়া হয়েছে।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অফিস অব পুলিশ অ্যাকাউন্টাবিলিটিকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠিতে ড্যানিয়েল বলেন, ‘আমাদের কথোপকথনটি ব্যক্তিগত ছিল। আমি বাসায় ফেরার পথে গাড়িতে বসে মাইক সোলানকে তদন্তের আপডেট জানানোর জন্য সে সময় ফোন করি। সে সময় সোলান এমন কিছু বলেছিলেন যার পরিপ্রেক্ষিতে আমি এই কথা বলেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো- এখন এই মন্তব্যটিই আইনজীবীদের যুক্তির বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা মানুষের জীবনের মূল্য বাক্যটিকে হাতিয়ার করে বিতর্ক শুরু করেছেন।’