ক্লাব ছেড়েছেন দুই বছর আগে। তবে পাওনা ২ কোটি ইউরো এখনো পরিশোধ করেনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সাবেক ক্লাব য়্যুভেন্তাস। যার কারণে তিনি দ্বারস্থ হচ্ছেন আদালতের।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ইতালিয়ান ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম লা গাজ্জেতার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে, কোভিডের সময় বেতন থেকে কেটে রাখা ১৯.৯ মিলিয়ন ইউরো পাওনা আদায়ে য়্যুভেন্তাসের বিপক্ষে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রোনালদো।
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ২০১৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব য়্যুভেন্তাসে পাড়ি দিয়েছিলেন রোনালদো। সিরি আর ক্লাবটির হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন তিন মৌসুম। এর মাঝে ২০২০ সালে পৃথিবীব্যাপী আঘাত হানে প্রাণঘাতী ভাইরাস ‘কোভিড-১৯’। সে সময় প্রায় ১০৫ দিনের জন্য বন্ধ ছিল মাঠের ফুটবল। এরপর মাঠে ফুটবল ফিরলেও স্বাস্থ্যবিধির বাধ্যবাধকতার জন্য গ্যালারিতে ফেরানো যায়নি দর্শক। আয়ের অন্যান্য খাতও বন্ধ থাকায় তখন ক্লাবের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খায় য়্যুভেন্তাস। সমস্যা সমাধানে সে সময় খেলোয়াড় ও কোচদের সঙ্গে কথা বলে বেতনের কিছু অংশ বকেয়া রাখে য়্যুভেন্তাস। শর্ত ছিল, ক্লাব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে কোচ ও খেলোয়াড়দের।
কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও নিজের বকেয়া পাননি রোনালদো। যদিও ইতোমধ্যে তুরিনের ক্লাবটির সঙ্গে সমঝোতা করে নিজের পাওনার প্রায় ৩ মিলিয়ন ইউরো আদায় করে নিয়েছেন পাওলো দিবালা। কিন্তু পর্তুগিজ তারকাকে কোনো অর্থ পরিশোধ না করায় তিনি হাঁটছেন আইনি পথে।
য়্যুভেন্তাসের হয়ে ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৩৪ ম্যাচ খেলে ১০১ গোল করেছেন রোনালদো। তুরিনের ক্লাবটির হয়ে জিতেছেন দুটি সিরি আ, একটি কোপা ইতালিয়া ও দুটি সুপারকোপা ইতালিয়ানা ট্রফি। য়্যুভেন্তাস ছেড়ে ২০২২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেন রোনালদো। তবে নানা বিতর্কিত কাণ্ডে সেখানে থাকতে পারেননি এক মৌসুমের বেশি।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে রোনালদো চুক্তিবদ্ধ হন সৌদি আরবের ক্লাব আল-নাসরের সঙ্গে। বর্তমানে ক্লাবটির হয়ে সৌদি প্রো লিগ মাতাচ্ছেন ৩৮ বছর বয়সী এ তারকা।