ভারতের কেরালার করুণাপুরম গ্রামের গাছের দিকে তাকালে চমকে উঠবে যে কেউ। কারণ ইদ্দুকি জেলার ১৫ একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত গাছগুলো ফলের হলেও সেখানে এখন ফলের দেখা নেই। গাছজুড়ে রয়েছে হাজার হাজার বাদুড়। এসব বাদুড়ের নাম ফ্রুট ব্যাট বা বড় উড়ন্ত বাদুড়।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছে, সাধারণত করুণাপুরমের অব্যবহৃত খামার জমিতে যে গাছগুলো আছে সেখানে আগে অল্প সংখ্যক বাদুড় দেখা যেত। তবে এই বছরের জুলাই থেকে তাদের সংখ্যা মাত্রারিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে যা এখন কয়েক হাজারে পৌঁছেছে।
তারা আরও বলেন, বাদুড়েরা গাছের ফল খেয়ে এখানকার কফি এবং এলাচের বাগান সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাদুড় ছাড়া কিছু দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে কেরালার কোঝিকোড়ে নিপা ভাইরাসের সংক্রমনে উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা । ভাইরাসের ভয়ে এই অঞ্চলের কেউ গাছের ফল খাচ্ছে না। নিপা আতঙ্কের পরে পঞ্চায়েতের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং বন কর্মকর্তারা গত বৃহস্পতিবার এলাকা পরিদর্শন করেন। বাসিন্দাদের বাদুড় দ্বারা কামড়ানো কোনো ফল না খাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নাগরিক সংস্থা শিগগরিই বাসিন্দাদের জন্য খোলা ট্যাঙ্ক এবং জলাশয়ের জল সাবধানে ব্যবহার করার বিষয়ে সচেতনতা ক্লাস পরিচালনা করবে। কারণ শুধু ফলে নয়, পানিতেও বাদুড়ের মলত্যাগ থাকতে পারে।
চলতি মাসে ভারতের কেরালায় নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে । কেরালায় ২০১৮ সালের পর এটি নিপার চতুর্থ প্রাদুর্ভাব। শুরুতে চারজন হলেও এখন দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এতে দুইজন মারা গেছেন। এবার কেরালায় পাওয়া স্ট্রেনটি বাংলাদেশ থেকে এসেছে বলে দাবি করেছেন কেরালার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা । এই স্ট্রেনটিতে মৃত্যুর হার বেশি এবং এটি মানুষ থেকে মানুষে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
নিপা একটি জেনেটিক ভাইরাস। এই ভাইরাসটি প্রাণি থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। সাধারনত এই ভাইরাসের বাহক হচ্ছে বাদুড়। এটি দূষিত খাবারের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে সংক্রমিত করে এবং সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়ে।