কাতার বিশ্বকাপের সেরা গোলটি করেছিলেন রিচার্লিসন। কিন্তু তারও আগে টটেনহ্যাম হটস্পারে যোগ দেওয়ার পর থেকেই গোলের সঙ্গে যে আড়ি এই ব্রাজিলিয়ানের। এবার ক্লাবের ফর্ম টেনে এনেছেন জাতীয় দলেও। গোল করতেই ভুলে গেছেন ২৬ বছর বয়সী এই নম্বর নাইন। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দুই ম্যাচেই গোল করতে ব্যর্থ হওয়ার পর কাঁদতেও দেখা গেছে তাকে।
বলিভিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে গোল উৎসব করেছে ব্রাজিল। ৫-১ গোলে জয় পেয়েছে নেইমারের দল। কিন্তু এমন ম্যাচেও সহজ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন রিচার্লিসন। তার গোল মিসের মহড়ায় বিরক্ত হয়ে কোচ ফার্নান্দো দিনিজ মাঠ থেকেই তুলে নেন তাকে। বদলি নামার পর বেঞ্চে বসে কাঁদতে দেখা যায় তাকে।
পেরুর বিপক্ষে পরের ম্যাচে অবশ্য গোল করেছিলেন রিচা, কিন্তু সে গোলও অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি। হতাশা তাই ঘিরে ধরেছে টটেনহ্যাম স্ট্রাইকারকে। এ কারণেই আন্তর্জাতিক বিরতির শেষে ইংল্যান্ডে ফিরেই মনোবিদের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রিচার্লিসন।
এভারটনের হয়ে ভালোই করছিলেন, যে কারণে তাকে দলে টানে স্পাররা। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ তিনি। ভাগ্যও সুপ্রসন্ন হচ্ছে না তার প্রতি। নইলে একের পর এক অফসাইড গোল হব কেন! পেরুর বিপক্ষে অফসাইড গোলের আগে টটেনহ্যামেও একাধিকবার অফসাইডে তার গোল বাতিল হয়েছে। সবশেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র ১টি গোল করেছেন, কাতার বিশ্বকাপের পর ব্রাজিলের জার্সিতে কোনো গোলই করতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবোকে রিচার্লিসন বলেন, ‘পাঁচ মাস ধরে মাঠের বাইরে আমি বিপর্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। ঘরের সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। যেসব মানুষের চোখ আমার অরররথের ওপর ছিল তারা আমাকে ছেড়ে গেছে। এখন সবকিছু আবার গতিশীল। আমি নিশ্চিত যে, টটেনহ্যামে এবার দারুণ কিছু করতে শুরু করব। সবকিছুই আবার ঠিকঠাক হয়ে যাবে।’
এই বিপর্যস্ত সময়কে পেছনে ফেলতে মনোবিদের শরণাপন্ন হওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে রিচা বলেন, ‘ইংল্যান্ডে ফিরে মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করতে আমি মনবিদের শরণাপন্ন হব। এটুকুই! আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব। আমি বিশ্বাস করি, পরেরবারও আমি স্কোয়াডে থাকব। টটেন্য্যামের হয়ে এখন ছন্দ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আমি।’