কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েসঘিয়ার বিপক্ষে দারুণ গোলটি করেই পেলেকে ছুঁয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু টাইব্রেকারে সে ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় ব্রাজিল। এই হারে মুষড়ে পড়া নেইমার ব্রাজিলের হয়ে খেলাই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। ভাগ্যিস সেদিন খেলা ছাড়েননি। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচেই যে নিজের জাত চিনিয়েছেন আল হিলাল তারকা। বলিভিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোলে ছাড়িয়ে গিয়েছেন পেলেকে।
বলিভবিয়ার পর পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটিতে দেখার ছিল নেইমার কেমন করেন। না, পেরুর বিপক্ষে গোল পাননি নেইমার। সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। কিন্তু গোল না করতে পারলেও ঠিকই গোল করিয়েছেন ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলের মালিক।
লিমার ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে মার্কুইনিয়সের একমাত্র গোলে জয় পায় ব্রাজিল। নেইমারের ইনসুইং কর্নার থেকে হেডে গোলটি করেন পিএসজির এই ডিফেন্ডার।
ম্যাচের ৪৭ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলে নেইমার, কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন পেরুর গোলরক্ষক। তাই গোল না পাওয়ার জন্য তাকে দুষতে পারেন তিনি। তবে চাইলে পেরুর ওঝাদেরও দোষ দিতে পারেন ব্রাজিলের সুপারস্টার। এই ম্যাচের আগে যে ব্রাজিল ও নেইমারের অমঙ্গল কামনা করে ‘তুকতাক’ করেছেন এই ওঝারা। ওয়ালতার আলারকন নামে এক ওঝা বলে রেখেছিলেন, ‘তন্ত্রের মাধ্যমে নেইমারের মনকে মেঘাচ্ছন্ন করাই আমাদের উদ্দেশ্য, যাতে সে যা চায়, সেটা করতে না পারে। ওর লক্ষ্য হলো গোল করা।’ ওঝাদের তবে সফল বলতেই হয়!
পেরুর জঙ্গল, পর্বত ও উপকূলবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে থাকা ওঝাদের স্থানীয়রা ‘তায়াতা ইনতি’ নামে চেনেন। সেই তায়াতা ইনতি সম্প্রদায়ের ওঝারা ব্রাজিলের বিপক্ষে পেরুর এই ম্যাচের আগে ভেন্যু ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের বাইরে জমায়েত করেছিল। সেখানে তারা নিয়ে আসা নেইমারের কুশপুত্তলিকার একটি পা বেঁধে ফেলেন। এছাড়া একটি বেদিতে তলোয়ার, তাবিজ, পতাকা এবং নেইমার-ক্যাসেমিরো-রদ্রিগোদের ছবি রেখে তাতে তুকতাক করেন।
আগত ওঝাদের একজন ফেলিক্স রোনদান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নেইমারের পা বেঁধে ওকে অসাড় বানিয়ে ফেলেছি। ও যাতে (পেরুর বিপক্ষে) ভালো খেলতে না পারে, দৌড়াতে না পারে; সে জন্যই এটা করেছি।’
ওঝাদের তাহলে কিছুটা হলেও সফল বলা যায়। ম্যাচে নেইমার গোল করতে পারেননি। তবে দিনশেষে দলকে ঠিকই জয় এনে দিয়েছেন।
কাতার বিশ্বকাপেও ফাইনালের আগে আর্জেন্টিনার ডাকিনীরা দাবি করেছিল, কিলিয়ান এমবাপ্পেসহ ফরাসিদের কালোজাদু করেছেন তারা।